বিয়ের পরও বাবার বাড়িতেই সোনম কাপুর

সোনম কাপুর ও আনন্দ আহুজা
সোনম কাপুর ও আনন্দ আহুজা

অনেক গুঞ্জন, অনেক লুকোচুরি, অবশেষে ধুমধাম করে বিয়ে। বলিউড তারকা সোনম কাপুর আর আনন্দ আহুজার বিয়ের কথা বলা হচ্ছে। বছরের শুরু থেকেই গণমাধ্যমগুলো ছিল তাঁদের বিয়ের খবরে মুখর। ৮ মে দীর্ঘদিনের প্রেমিক আনন্দ আহুজার গলায় মালা পরান সোনম। বিয়ে হলেও এখনো সংসার শুরু হয়নি সোনমের। প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ল’রেলের শুভেচ্ছাদূত হয়ে তিনি এখন আছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। মেহেদিরাঙা হাতে এবার লালগালিচায় হাজির হন ভারতীয় এই সুন্দরী।

ফিরে এসে সোনম কোথায় ঘর পাতবেন? দিল্লি নাকি মুম্বাই? সোনমের খুব কাছের এক বন্ধু বলিউড হাঙ্গামাকে জানিয়েছে, এখনই বাবার বাড়ি ছাড়ছেন না সোনম। ফ্রান্স থেকে ফিরে এই তারকা নিজের বাবার বাড়িতেই উঠবেন। স্বামী আনন্দ আহুজাও থাকবেন তাঁর সঙ্গে। সোনমের বাবা অভিনেতা অনিল কাপুরেরও নাকি ইচ্ছা, মেয়ে আর মেয়ে জামাই তাঁদের সঙ্গেই থাকুক। তাই আপাতত কাপুর বাংলোই হচ্ছে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আহুজার সাময়িক ঠিকানা।

সোনম ও আনন্দের বিয়ের ছবি
সোনম ও আনন্দের বিয়ের ছবি

বিয়ের কয়েক দিন আগে সোনম কাপুর আর আনন্দ আহুজাকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা আর জুহু এলাকায় বাড়ি খুঁজতে দেখা গেছে। তবে এখনো তাঁরা ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারেননি। সোনমের আসন্ন ছবি ‘ভিরে দি ওয়েডিং’-এর প্রচারণা। এরপর আছে বাবা অনিল কাপুরের সঙ্গে ‘এক লাড়কি কো দেখা তো’ ছবির শুটিং। সব মিলিয়ে সোনম খুব ব্যস্ত। আনন্দকেও ব্যবসা সামলাতে নিয়মিত দিল্লি-মুম্বাই করতে হচ্ছে। তাই নতুন সংসার পাতার জন্য দুজনের আরও একটু সময় চাই। এই কয়টা দিন আনন্দকে ঘরজামাই হয়েই থাকতে হবে।

তবে সোনম আর আনন্দ কোন শহরে ঘর বাঁধবেন, সেটা নিয়ে বেশ দ্বিধায় আছেন। কারণ, সোনমের পরিবার ও ক্যারিয়ার মুম্বাইয়ে। আনন্দ আহুজার পরিবারের সবাই ও ব্যবসা দিল্লিতে। আনন্দকে ক্ষণিকের ঘরজামাই হয়ে থাকতে হলেও তিনি কিন্তু বিশাল ধনসম্পদের মালিক। আনন্দের বাবা হরিশ আহুজা দিল্লির বড় ব্যবসায়ী। তাঁরা ভারতের অন্যতম বড় রপ্তানি প্রতিষ্ঠান শাহি এক্সপোর্টের মালিক। আনন্দ এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া ‘ভেজ নন ভেজ’ নামে একটি মাল্টি ব্র্যান্ড স্নিকার্স কোম্পানি আছে আনন্দের। তিনি ‘ভানে’ নামের একটি পোশাক ব্র্যান্ডের কর্ণধার। সব মিলিয়ে সোনমের বর নাকি ৩০ হাজার কোটি টাকার মালিক!

সোনম ও আনন্দের বিয়ের ছবি
সোনম ও আনন্দের বিয়ের ছবি

দিল্লির আমেরিকান অ্যাম্বাসি স্কুল থেকে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমান আনন্দ। সেখানে অর্থনীতি আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর হোয়ারটন বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ শেষ করেন। ২০১৪ সালে বন্ধু প্রেরণার মাধ্যমে সোনমের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। প্রেরণা সে সময় সোনমের স্টাইলার ছিলেন।

৭ মে বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের সানটেক্স সিগনেচার আইল্যান্ডে বসেছিল সোনম-আনন্দের মেহেদির আসর। তার আগের রাতেই অবশ্য মুম্বাইয়ে নিজেদের বাড়িতে হাত ভরে মেহেদি পরে নেন সোনম। সঙ্গে ছিল নাচ-গানের আয়োজন। আর ৮ মে সকালে শিখ রীতিতে অনুষ্ঠিত হয় সোনম-আনন্দের বিয়ে। ঐতিহ্যবাহী গয়না আর লাল লেহেঙ্গায় বউ সেজেছিলেন তিনি। বিয়ের ভেন্যু ছিল বান্দ্রা রকডেল বাংলো। এটি সোনমের খালা ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কবিতা সিংয়ের নিজের বাংলো। একই দিন রাত আটটায় নবদম্পতির জমকালো বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন রাখা হয়। মুম্বাইয়ের পাঁচ তারকা লীলা হোটেলে সেদিন নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বলিউডের অনেকেই।