তিলোত্তমা অনেকের চেয়ে বেশি এগিয়ে

তিলোত্তমা সোম
তিলোত্তমা সোম

বলিউডের আর দশটা নায়িকার মতো তিনি লাস্যময়ী নন। অনেকে হয়তো পুরো নামটাই জানেন না। তবে এই অভিনেত্রী কিন্তু শিল্পী হিসেবে অনেকের চেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন। ৭১তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে সেটাই বোঝা গেল। উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিক বিভাগে নির্বাচিত দুটো ছবিতেই অভিনয় করেছেন তিলোত্তমা সোম।

কান উৎসবে আসা তিলোত্তমা অভিনীত দুটো ছবির কথা কিছুক্ষণ পর বলছি। আগে এই অভিনেত্রীর কিছু পুরোনো কাজ দিয়ে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক। বাংলা সিনেমার দর্শক তাঁকে হয়তো যুদ্ধশিশু ছবির ‘বীথিকা’ বা তাসের দেশ ছবির ‘রানি’ হিসেবে চিনবেন। কলকাতায় জন্ম নেওয়া এ শিল্পী ভারতীয় এ দুটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তা ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য আরও কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে বলিউডের ছবি হিন্দি মিডিয়াম, সাংহাই, আ ডেথ ইন দ্য গুঞ্জ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নয়নতারাস নেকলেস।

এত মানসম্পন্ন কাজ করার পরও তিলোত্তমাকে ভারতের প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে ধরা হয় না। তাঁর না আছে ‘নায়িকাসুলভ গায়ের রং’, না আছে নাচের পারদর্শিতা কিংবা ইনস্টাগ্রামে কোটিখানেক অনুসারী। বেশ নিভৃতেই সেই ২০০১ সাল থেকে অভিনয় করে যাচ্ছেন তিলোত্তমা।

৭১তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ আঁ সারতেঁ রিগারে স্থান করে নিয়েছে নন্দিতা দাস পরিচালিত ভারতীয় ছবি মান্টো। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিলোত্তমা সোম। অন্যদিকে কানের ক্রিটিকস উইকে ভারতের আরেকটি ছবি জায়গা করে নিয়েছে, নাম স্যার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রোহেনা গেরা। সেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন তিলোত্তমা।

কানে দু-দুটি ছবির প্রদর্শনী, এরপরও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোন, কঙ্গনা রনৌত বা সোনম কাপুরের মতো তিলোত্তমা লালগালিচায় উত্তাপ ছড়াতে পারেননি। কারণ, এ অভিনেত্রী নতুন কাজ নিয়ে ব্যস্ত ভারতে। তাই তিনি কানে আসেননি। তবে তাঁর কাজ ঠিক কানকে জমিয়ে রেখেছে, কুড়িয়ে যাচ্ছে প্রশংসা।