কেটি পেরির কালো ঘোড়া

কেটি পেরি
কেটি পেরি

না না, ভুল করবেন না। এই ঘোড়া কোনো ময়দানের রেসের ঘোড়া নয়। কিন্তু বিলবোর্ডের রেসে ঠিকই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর নতুন গান ‘ডার্ক হর্স’! টানা তৃতীয় সপ্তাহের মতো প্রথম স্থানে থেকে ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। এই গানটি কেটি পেরির চতুর্থ স্টুডিও অ্যালবাম প্রিজম-এর বোনাস ট্র্যাক। হিপহপ ধাঁচের এই গানে র‌্যাপ দিয়েছেন আমেরিকান র‌্যাপার জুসি জে।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া গান শুরু থেকেই সমালোচকদের সুনজরে ছিল। যদিও মিউজিক ভিডিও বানানোর কাজ এখনো চলছে, কিন্তু ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫৬তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে কেটির লাইভ পারফরম্যান্স দর্শক-শ্রোতাদের নজর কাড়ে। তারপর খুব অল্প সময়েই স্থান করে নেয় বিলবোর্ডের টপ টেনে।
এর আগে কেটির আরও নয়টি গান বিলবোর্ডে প্রথম স্থানে ছিল, কিন্তু এই গান নিয়ে কেটি নিজে একটু বেশিই উৎফুল্ল, ‘এই প্রথম স্থান একদমই অপ্রত্যাশিত। আমি এর সাফল্যে অনেক উৎফুল্ল ও কৃতজ্ঞ।’
রেসের দ্বিতীয় স্থানে আছে ফ্যারেল উইলিয়ামসের ‘হ্যাপি’। ডেস্পিকেবল মি ২ চলচ্চিত্রের সাউন্ড ট্র্যাক অ্যালবামের গান এটি। পেরির ঘোড়া রেসে এগিয়ে আছে ঠিকই কিন্তু ‘হ্যাপি’ও সেই ঘোড়ার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। অষ্টম থেকে একলাফে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এই গান অন্য ১৫টি দেশের টপ চার্টের শীর্ষস্থানে রয়েছে।
গত সপ্তাহে চতুর্থ স্থান থেকে এখন তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে নতুন গান ‘টক ডার্টি’। জেসন ডেরুলোর ট্যাটু অ্যালবামের এই গান আমেরিকার পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও ভালো সাড়া পাচ্ছে। ছিটকে পড়া ‘সে সামথিং’ গত সপ্তাহে সপ্তম স্থান থেকে উঠে এসে এবার চতুর্থ স্থান দখল করেছে। এ গ্রেট বিগ ওয়ার্ল্ড ও ক্রিস্টিনা এগুয়েরার এ গানটি সবার পছন্দের।
পঞ্চম স্থানে আছে ব্রিটিশ শিল্পী প্যাসেঞ্জারের ‘লেট হার গো’। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া এই গানের এখন পর্যন্ত কয়েক মিলিয়ন ডিজিটাল কপি বিক্রি হয়েছে। ২৮ সপ্তাহ ধরে চার্টে থাকার পর এই সপ্তাহে গানটি পঞ্চম স্থানে অবস্থান করে কচ্ছপ গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
 মো. সাফিবিনদোহা