বললে তো এখন সবাই জেনে যাবে: দীপা

দীপা খন্দকার
দীপা খন্দকার


ভারতের কলকাতার পর বাংলাদেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘ভাইজান এল রে’ ছবিটি। জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত এই ছবিতে শাকিব খানের বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। চলচ্চিত্রটি নিয়ে কথা হলো দীপার সঙ্গে।

বড় পর্দায় প্রথম অভিনয়। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই ছবিটি দেখেছেন। সবাই প্রশংসা করছেন। সবচেয়ে বড় কথা, ছবিতে আমার চরিত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। মঞ্চ ও টেলিভিশনের অভিজ্ঞতা এই চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

আগে তো কলকাতায় মুক্তি পেয়েছিল। সেখানে কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?
সেখানে মুক্তির সময় যেতে পারিনি। কিন্তু আমার পরিচিত দু-চারজন ছবিটি দেখে ওখান থেকে আমাকে ফোনে প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে আমার স্বামীর চরিত্রের অভিনেতা শান্তি লাল মুখার্জি ও ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ থেকে বেশি প্রশংসা পেয়েছি।

নিজে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন?
প্রথম দিনই বলাকা হলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। দর্শকের সঙ্গে বসে ছবিটি উপভোগ করেছি। খুব ভালো লেগেছে।

এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
দারুণ অভিজ্ঞতা। শুরুতেই এত বড়, এত ভালো একটি দলের সঙ্গে কাজ হবে, ভাবিনি। পরিবার, বাচ্চাদের ফেলে ১৮ দিন কলকাতায় শুটিং করেছি। পাঁচ-ছয় দিন যুক্তরাজ্যে কাজ করেছি। খারাপ লাগেনি। শুটিংয়ের দিনগুলোতে কাজের মধ্যেই ডুবে ছিলাম।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
অন্য রকমের অভিজ্ঞতা। তাঁর সঙ্গে এর আগে ২০০৩ অথবা ২০০৪ সালের দিকে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানের পারফরম্যান্স করতে গিয়ে দু-একবার দেখা হয়েছিল। এতটুকুই। তাঁর সম্পর্কে আমার আগে থেকে কোনো ধারণা ছিল না। গত ৩ মার্চ কলকাতায় প্রথম এই ছবির শুটিং শুরু হয়। প্রথম দৃশ্যই ছিল আমার আর শাকিব খানের। কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, খুবই পেশাদার অভিনেতা তিনি। ছবিতে তাঁর সঙ্গে আমার অনেক দৃশ্য। ভালো কাজ, শুটিংয়ে সঠিকভাবে সময় দেওয়া, সহশিল্পীকে সহযোগিতা করা-কোনো কিছুতেই তাঁর বিরক্তি নেই।

আর কোনো ছবিতে কাজের কথা হচ্ছে কি?
কাজটি করার সময় এসকে মুভিজ থেকে নিয়মিত কাজের প্রস্তাব এসেছিল। আমি বলেছি, আগে আমার পরিবার ও সন্তান। আমি ছবির যেকোনো চরিত্রে কাজ করব না। পরিবারকে সময় দিয়ে চরিত্রের গুরুত্ব দেখে দু-একটি কাজ করব।

এই প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের কোন কাজটি খারাপ লাগে?
বেশির ভাগই চিত্রনাট্য অনুসরণ করে না।

অভিনেতা শাকিব খানের একটি ভালো, একটি মন্দ দিক বলেন?
ভালো দিক হলো শাকিব খান বুদ্ধিমান অভিনেতা। আর মন্দ দিক হলো পর্দায় নিজেকে নায়কোচিতভাবে উপস্থাপন করতে চান।

কখনোই স্বামী শাহেদ আলী সুজনকে বলা হয়নি, এমন একটি গোপন কথা যদি বলেন।
বললে তো এখন সবাই জেনে যাবে। আরও কিছুদিন গোপন থাক।