খুশি হওয়ার বদলে ভয় পেয়ে গেলাম

আজকে যে সুপারস্টার, অতীতে তাঁকেও দুরু দুরু বুকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হতো। কেমন ছিল সেই অনুভূতি? কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? তাই বলবেন তারকারা? আজ ক্যামেরার সামনে প্রথম বিভাগে হাজির হয়েছেন তরুণ অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।

সিয়াম আহমেদ
সিয়াম আহমেদ

আমার জন্য স্মরণীয় একটি ওটা। এখনো ভাবলে কেমন যেন লাগে। আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম একটি মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের শুটিং করার জন্য। সেটা শুধু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোই নয়, জীবনের প্রথম অডিশন দেওয়ার অভিজ্ঞতাও ওটা। তখন অত কিছু বুঝতাম না, শুধু জানতাম একটা বিজ্ঞাপনের অডিশন এটা। প্রায় ৭০ জন অডিশন দিয়েছিল আমার সঙ্গে, তারা সবাই মোটামুটি অভিজ্ঞ। অডিশন শেষে সবাইকে বলা হলো, নির্বাচিত হলে ফোন করা হবে; ব্যস, এতটুকুই। প্রায় নিশ্চিত ছিলাম ফোন আসবে না। আমি আমার মতো ফিরে এলাম। অডিশনের ব্যাপারটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেললাম। কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে রাতে ফোন করে বলা হলো, আমি নির্বাচিত। তখন খুশি হওয়ার বদলে ভয় পেয়ে গেলাম। কীভাবে কী করব, মাথায় এল না। ওই বিজ্ঞাপনের পরিচালক ছিলেন আদনান আল রাজীব। তিনি খুবই গুণী পরিচালক। আমাকে শুটিংয়ের প্রথম দিন সহজ করে দেওয়ার জন্য শুরুতেই পাশে বসিয়ে অনেক গল্প করলেন। সবকিছু বুঝিয়ে দিলেন। জানানো হলো, টানা দুই দিন শুটিং করা হবে। শুরু হলো শুটিং। কীভাবে কীভাবে যেন দুদিনে শেষও হয়ে গেল। বিজ্ঞাপনের গল্পটাও ছিল বেশ অন্য রকম। স্টেশনে একজন মায়ের হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে আমি আমার ট্রেন মিস করি—এমন একটা ঘটনা ছিল। তারপর যখন বিজ্ঞাপনটা প্রচার শুরু হলো, তখন আমি যতটা না খুশি হয়েছিলাম, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল আমার পরিবারের সবাই এবং বন্ধুরা। তারপর থেকে শুরু। একটার পর একটা কাজের জন্য অফার এল। সেই শুরু, তখনই বুঝেছিলাম, দর্শক আর নিজের মানুষগুলো আমার কাছে আরও ভালো ভালো কাজ আশা করছেন। সেই চেষ্টা আমি নিয়মিত করে যাচ্ছি।

গ্রন্থনা: তাসনিয়া লস্কর