তাঁর গান, তাঁর প্রয়াণে!

রবীন্দ্রনাথ একটি আনন্দের নাম। তিনিই দেখিয়ে গেছেন, জীবন একটি উদ্‌যাপনের বিষয়। বাঙালির জীবনের হাসি, আনন্দ, সুখ-দুঃখ—সবকিছু উদ্‌যাপনের পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তিনি। সে জন্যই হয়তো তাঁর প্রয়াণ স্মরণ করতে গাওয়া হবে তাঁরই গান।

এ বছর রবীন্দ্রপ্রয়াণের দিন ২২ শ্রাবণ, ৬ আগস্ট। দুই দিন আগে আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় কবিগুরুর প্রয়াণ স্মরণে করতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে দুই দিনের এ অনুষ্ঠানে কবিগুরুর গান করবেন সংস্থার প্রায় ৮০ জন শিল্পী। এ ছাড়া গাইবেন বেশ কয়েকজন বরেণ্য শিল্পী।

কবিগুরু প্রয়াণের ৭৭তম বর্ষে তাঁকে স্মরণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেষজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশ কিছু বর্ষার গান লিখেছেন। বর্ষা তাঁর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্ষা যেমন তাঁকে অনেক দিয়েছে, তিনিও প্রকৃতিকে কিছু দিতে চেয়েছেন। সে জন্যই লিখেছেন অনেকগুলো গান। এ অনুষ্ঠানে আমরা সেই গানগুলো গাইব। পাশাপাশি তাঁর লেখা নিবেদন সংগীতগুলোও গাইব আমরা।’

শিল্পী সংস্থার পক্ষে জানানো হয়, উদ্বোধনী সন্ধ্যায় সমবেত কণ্ঠে ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা’ এবং ‘আগুনের পরশমণি’ গান দুটি গাইবেন শিল্পীরা। এরপর শুরু হবে একক ও দ্বৈত কণ্ঠের গান।