উপস্থাপক বন্যা, শিল্পী সাবিনা

‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমিন ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমিন ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সাবিনা ইয়াসমীন, দুজনই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে মঞ্চে তেমন দেখা যায়নি। তবে এবার ঈদে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে টিভির পর্দায়। অনুষ্ঠানের নাম ‘কোকিল কণ্ঠে লালন’। প্রচারিত হবে চ্যানেল আইয়ে, ঈদের দিন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে। জানা গেছে, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী আর আধুনিক গান, চলচ্চিত্রের গান ও দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন। এবার প্রথমজন উপস্থাপনা করেছেন আর দ্বিতীয়জন গেয়েছেন লালনের গান। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির ধারণকাজ শেষ হয়েছে।

‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমীন কোন গানগুলো গেয়েছেন? জানা গেছে, চ্যানেল আইয়ের এই অনুষ্ঠানে তিনি গেয়েছেন ‘আমি গুরুকার্য মাথায় রেখে’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’, ‘কবে সাধুর চরণধূলি’, ‘পারে কে যাবি’ এবং ‘চরণ ছেড়ো নারে ছেড়ো না’।

‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমীন
‘কোকিল কণ্ঠে লালন’ অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমীন

লালনের গান নিয়ে এই অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমীন বলেছেন, ‘আসলে লালনের ভক্ত কে না? সবাই লালনের গানের ভক্ত। আমিও তাঁর একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। লালনের গান সত্যি সত্যি মনকে ছুঁয়ে যায়। তাই একসময় মনে হলো, অনেক ধরনের গান গেয়েছি, এবার কেন লালন নয়? এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে লালনের গান করেছি। কিন্তু টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠানে একসঙ্গে লালনের কয়েকটি গান গাওয়া হয়নি। চ্যানেল আই এবার এই সুযোগ করে দিয়েছে।’

অনুষ্ঠানটির ধারণকাজ শেষ হওয়ার পর রেজওয়ানা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের গানের পাখি নামটা বললে যাঁর কথা প্রথম মনে পড়ে, তিনি সাবিনা ইয়াসমীন। শুধু আধুনিক অথবা দেশাত্মবোধক গান নয়, রবীন্দ্রসংগীতেও তিনি সমান পারদর্শী। এবার অনুষ্ঠানে তিনি লালনের গান গেয়েছেন। দারুণ গেয়েছেন।’