লোকার্নোতে আজ অং রাখাইনের ছবি

‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির দৃশ্য
‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির দৃশ্য

সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো উৎসবে আজ মঙ্গলবার দেখানো হবে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’। পরিচালক অং রাখাইন। এটি তাঁর দ্বিতীয় ছবি। তাঁর প্রথম ছবি ‘মাই বাইসাইকেল’। ১ আগস্ট লোকার্নোতে শুরু হয়েছে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ৭১তম আসর। চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। জানা গেছে, উৎসবের ওপেন ডোরস স্ক্রিনিং বিভাগে আজ স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ট্রেট্রো কারসালে প্রদর্শিত হবে ছবিটি। আর আজ এই ছবির প্রথম প্রদর্শনী হচ্ছে। নির্মাতার ভাষায় উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এই উৎসবে বাংলাদেশের আরও দুটি ছবি প্রদর্শিত হবে—মাহদী হাসানের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘আ ডেথ অব রিডার’ আর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’।

‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির দৃশ্য
‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির দৃশ্য

অং রাখাইন তাঁর প্রথম ছবি ‘মাই বাইসাইকেল’ (২০১৫) তৈরি করেন চাকমা ভাষায়। তবে ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবিটি বাংলা ভাষায়। দুটি ছবিরই ইংরেজি সাবটাইটেল করা হয়েছে। ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাজীব রাফি। প্রযোজনা করেছেন রুবায়েত হোসেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার ফেরদৌস, অশোক ব্যাপারী ও আশীষ খন্দকার।

‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির দৃশ্য
‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবির দৃশ্য

‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ছবি নিয়ে অং রাখাইন আগেই বলেছেন, ‘আমাদের দেশের পোস্ট অফিস ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চিঠির আদান-প্রদান নেই বললেই চলে। আমার এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে বিলুপ্তির পথে থাকা এমন একটি পোস্ট অফিসকে দেখানো হয়েছে। নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের কথা জেনেও সেই পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার আর ডাকপিয়ন মনের আনন্দে কাজ করছে।’

লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে অং রাখাইন
লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে অং রাখাইন

চলচ্চিত্র নিয়ে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ এই উৎসব ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, সে বছরই উৎসবের ‘ওপেন ডোরস’ বিভাগে দক্ষিণ এশীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যুক্ত হয়। এ বছর ওপেন ডোরসে দক্ষিণ এশীয় দেশের অংশগ্রহণ শেষ হচ্ছে। এই তিন বছর লোকার্নো উৎসবে জায়গা করে নেয় তরুণ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজকদের কাজ। উৎসবের ওপেন ডোরস বিভাগে তিনটি কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। ওপেন ডোরস হাবে অংশ নেয় নির্মাতাদের পরবর্তী ছবির চিত্রনাট্য। ওপেন ডোরস ল্যাবে কর্মশালায় অংশ নেন প্রযোজকেরা। আর ওপেন ডোরস স্ক্রিনিংয়ে প্রদর্শিত হয় নির্মাতাদের তৈরি ছবি।