'তৈলাক্ত কলাগাছের চাহিদা আছে'

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য
‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য

টেলিভিশন গেম শো হিসেবে নতুন খেলা তৈরি করা কঠিন। তবে এবার ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’তে নতুন কিছু খেলা রাখা হয়েছে। পুরোনো খেলাগুলোর মধ্যে তিনটি খেলাকে কোনোভাবেই বাদ দিতে পারেননি অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনাকারীরা। তাঁদের মতে, তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠার খেলার চাহিদা আছে।

আসছে ঈদুল আজহায় চ্যানেল আইতে দেখানো হবে টিভি গেম শো ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। এবার অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে কুড়িগ্রামের কৃষকদের নিয়ে। মঙ্গাপীড়িত এ অঞ্চল প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানটির পরিকল্পক ও পরিচালক শাইখ সিরাজ বলেন, ‘কুড়িগ্রাম বদলে গেছে। এখন আর একে মঙ্গার অঞ্চল বলা যাবে না। সেখানকার লোকেরা আগে বলতেন “কী খাব”, আর এখন বলেন “কী দিয়ে খাব”। অর্থাৎ বিকল্প খাবার থেকে বেছে খাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাঁদের।’

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য
‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ ঈদের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। তবে অনেক দর্শকের মতে এতে কিছুটা পুনরাবৃত্তি লক্ষণীয়। শাইখ সিরাজ বলেন, তিনটি খেলা কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবারই বালিশ পেটানো, বউ সাজানো, তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওপরে ওঠার খেলাগুলো রাখতে হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নিয়ে খেলাগুলো ঠিক করা হয়। দেখা গেছে, সবাই এই খেলাগুলো রাখার পক্ষে।

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য
‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য

এই পর্বে নিয়মিত খেলা ছাড়াও থাকবে কোমর বাঁধা অবস্থায় হাঁড়িভাঙা আম খাওয়া, বল গড়ানো, পানির ওপর ঝোলানো দড়ি বেয়ে পার হওয়ার চেষ্টা। এ ছাড়া দেখা যাবে কুড়িগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পৃক্ত নানা আয়োজন। এসব আয়োজনে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় কৃষিজীবীরা। শাইখ সিরাজ বলেন, ‘অনুষ্ঠানটির শুটিং করতে গিয়ে লক্ষ করেছি, মানুষের গায়ে বাহারি রঙের জামা। এ দৃশ্যই বলে দেয়, সেখানকার মানুষ নিজেদের বদলে ফেলেছেন। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ফল, লটকন চাষ হচ্ছে, যা আগে ছিল না। আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যখন “মাটি ও মানুষ” অনুষ্ঠানটি করি, তখন জুবির ভিটা নামে একটা গ্রামের তুঁতচাষি রূপচানকে তুলে এনেছিলাম। এবার গিয়ে দেখি তিনি আর দরিদ্র কৃষক নন। বরং তিনি এখন অবস্থাসম্পন্ন আত্মনির্ভরশীল নারী।’