'আমি জয়ার ছোট বোন কান্তা!'

>

বড় পর্দার অভিনেত্রী জয়া আহসানের ‘ক্রিসক্রস’ ছবিটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গজুড়ে মুক্তি পেয়েছে। সেখানে আরও কয়েকটি ছবির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। বাংলাদেশে দেবী ছবিটি নিয়েও প্রচার চলছে। এসব নিয়েই কথা হলো জয়া আহসানের সঙ্গে।

জয়া আহসান
জয়া আহসান

গতবার চলচ্চিত্র বিভাগে কলকাতার ‘সেরা বাঙালি’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। এবার বিখ্যাত চিত্রগ্রাহক সুদীপ চ্যাটার্জির হাতে একই পুরস্কার তুলে দিলেন। কেমন লাগছে?
এটি আমার জন্য খুবই আনন্দের। শুধু ভারত নয়, প্রতিবছর সারা পৃথিবীর নানা ক্ষেত্রের বাঙালিদের বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। গত বছর চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা বাঙালির পুরস্কার আমি পেয়েছিলাম। একই বিভাগে এবারের বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে আয়োজক এবিপি (আনন্দবাজার পাবলিকেশনস) গ্রুপ আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বিখ্যাত চিত্রগ্রাহক সুদীপ চ্যাটার্জির হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছি আমি। পদ্মাবত, বাজিরাও মাস্তানি, চতুষ্কোণ, ধুম থ্রি, গুজারিশ, চাক দে ইন্ডিয়ার মতো ছবিগুলোতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত হয়েছি।

গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে আপনার ‘ক্রিসক্রস’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
অর্ধশতাধিক হলে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। আমার জানামতে, বেশ ভালো যাচ্ছে ছবিটি। সমাজের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসা পাঁচ তরুণীর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে এই ছবি। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত ছবিটিতে এ সময়ের সমাজটা তুলে ধরেছেন। ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে গুণীজনদের কাছ থেকে প্রশংসা শুনেছি। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে যাঁরা ছবিটি দেখেছেন, তাঁদের অনেকেই প্রশংসা করেছেন।

এখন কলকাতায় কী কী কাজ করছেন?
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির কণ্ঠ এবং অর্ণব পালের বৃষ্টি তোমাকে দিলাম ছবি দুটির ডাবিং করছি। দুটি ছবিরই কাজ প্রায় শেষের পথে।

‘দেবী’ ছবির প্রচারের খবর কী?
আমরা একটু ভিন্নভাবে এই ছবির প্রচার করছি। এর মধ্যে ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের পোশাকের মাধ্যমে প্রচারণা করেছি। এখনো করছি। আরও ভিন্ন ধরনের প্রচারণার পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়া আমরা ছবির শিল্পী-কলাকুশলীরা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, পত্রিকা ও ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে হলে গিয়ে ছবিটি দেখতে দর্শকদের উৎসাহিত করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছবিটি নিয়ে প্রচার করছি আমরা। দু-তিন দিনের মধ্যে ছবিটির একটি গান ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে। তবে কোন গানটি ছাড়া হবে, তা এখনই বলছি না।

৭ সেপ্টেম্বর ছবিটির মুক্তির কথা আছে। মুক্তির তারিখ ঠিক থাকবে তো?
পরিবর্তন হতে পারে। মুক্তির তারিখ পেছানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ছবিটির মুক্তি একটু পিছিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা। এখন দেখা যাক কী হয়।

একজন প্রিয় তারকার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে আপনার কোন ছবিটি দেখতে বলবেন?
একটা নয়, দুটি ছবি দেখতে বলব-বিসর্জন ও ডুব সাঁতার।

কোনো ভক্ত যদি সামনে এসে আপনাকে বলেন, ‘উইল ইউ ম্যারি মি?’ কী করবেন?
ফেসবুকে যদি কেউ এ ধরনের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সিন করে হাসির রিঅ্যাকশন দেব। আর সামনাসামনি বললে বলব, আমি জয়ার ছোট বোন কান্তা! কারণ, আমাদের দুই বোনের চেহারা প্রায় একই রকম।

কলকাতায় থাকলে ঢাকার আর ঢাকায় থাকলে কলকাতার কী মিস করেন?
ঢাকার বাসার ছাদ। আর কলকাতায় আমার বেডরুম। রুমের জানালা দিয়ে আকাশ, উড়ে যাওয়া মেঘ, বৃষ্টি, কৃষ্ণচূড়া আর বর্ষার কদমফুল খুব মিস করি।