চুমুর দৃশ্যে আপত্তি

আইশা শর্মা
আইশা শর্মা

বাবা অজিত শর্মা রাজনীতিবিদ। বোন নেহা শর্মা অভিনেত্রী। আইশা শর্মা হাঁটলেন বোনের পথেই। সত্যমেব জয়তে ছবি দিয়ে বলিউডে নাম লেখালেন তিনি। নবাগত এই বলিউড সুন্দরীর শুরুটা বেশ জোরদার। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে তিনি জন আব্রাহামের নায়িকা। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই জানিয়ে দিলেন, পোশাকে সাহসী হলেও পর্দায় কিছু দৃশ্য করতে প্রবল আপত্তি আছে।

বলিউডে আসার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না আইশার কাছে। অনেক চেষ্টার পর মিলাপ জাভেরির এই ছবিটির নায়িকা হয়েছেন। আইশা বলেন, ‘বলিউডের বাইরে থেকে যাঁরা আসেন, তাঁদের প্রত্যেককেই একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমার বোন নেহার জন্য আমার কাজ পেতে সহজ হয়েছে, এমনটি নয়। তারকা পরিবারের সন্তানদের শুরুটা অনেক বেশি মসৃণ হয়। তাঁদেরও পরে অনেক সংগ্রাম করতে হয়।’

ক্যারিয়ারের শুরুতেই মনোজ বাজপেয়ি ও জন আব্রাহামের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করলেন আইশা। দারুণ খুশি তিনি। একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে বলেন, ‘মনোজজি ও জনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। ছবিতে মনোজজির সঙ্গে আমার দৃশ্য কম। তাই তাঁর সঙ্গে কম দেখা হতো। তাঁকে দেখে রাশভারী মনে হলেও তিনি ভীষণ মজার মানুষ। হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন। জন অত বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও কখনোই আমাকে বুঝতে দেননি যে আমি মাত্রই বলিউডে এসেছি। সহ-অভিনেতা হিসেবে জন আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছেন।’

জনের হাত ধরে বিটাউনে পা রাখলেও আইশা আরেক তারকার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তিনি শাহরুখ খান। আইশা বলেন, ‘শাহরুখ খান আমার আদর্শ। তাঁকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। ছবিতে তাঁর নায়িকা হতে চাই।’ তবে ক্যারিয়ারের জন্য একেবারে যা খুশি তাই করতে নারাজ এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘ছবির শুরুতেই নিখিল স্যারকে (আদভানি) বলে দিয়েছিলাম, চুম্বনদৃশ্য আমি করব না। এই ছবিতে এমন কোনো দৃশ্যও নেই। অন্য কোনো ছবিতেও চুম্বনদৃশ্য করতে আমার আপত্তি আছে। আমি ছবিতে বিকিনি পরতে রাজি আছি, কিন্তু নগ্ন হতে পারব না। নগ্ন দৃশ্যে আমি একদমই স্বাচ্ছন্দ্য নই।’