'ছবিটি দেখলে দর্শকেরা ভয় পাবেন'

আনিসুর রহমান মিলন
আনিসুর রহমান মিলন

সেন্সরে জমা পড়েছে আনিসুর রহমান মিলনের নতুন ছবি ‘স্বপ্নবাড়ি’। শিগগির হয়তো মুক্তি পাবে ভৌতিক গল্পের এই ছবি। সম্প্রতি নতুন আরও একটি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেছেন মিলন। সুমন রেজার পরিচালনায় ‘ঝুম’ নামের সেই ছবিটিও নির্মিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রম এক গল্পে। এ দুই ছবি নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা আনিসুর রহমান।

শুনেছি ‘ঝুম’ ছবির গল্পে ভৌতিক আবহ রয়েছে? 
‘ঝুম’ ছবির গল্প একজন সিজ্রোফেনিক রোগীকে নিয়ে। সে তার কল্পনায় ভয়ংকর সব ঘটনা ঘটতে দেখবে। সেটা দর্শকও দেখতে পাবেন। সেই ঘটনাগুলোই এক ধরনের হরর ফ্লেভার তৈরি করবে। তবে একে হরর ছবি বলা যাবে না।

কতটা কাজ করলেন? 
কেবল শুটিং শুরু হয়েছে। এখনো মূল গল্পে ঢোকেনি। ঢাকায় খানিকটা শুটিং হবে। বড় একটা অংশের শুটিং হবে ঢাকার বাইরে। প্রায় ৭০ শতাংশ কাজই বাকি।

সিজোফ্রেনিয়ার রোগীকে নিয়ে সিনেমার গল্প কি দর্শক গ্রহণ করবে? 
এই ধরনের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ আমাদের দেশের জন্য ব্যতিক্রম। আমাদের দর্শকদের জন্য এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা হবে বলে মনে করি। এই ধরনের গল্প নিয়ে সাধারণত কেউ ছবি করতে চায় না। উৎপল দত্তের একটা উপন্যাস পড়েছিলাম। সেটা পড়ার পর বুঝতে পেরেছি, সিজোফ্রেনিয়ার রোগীর অবস্থা কেমন হয়।

শোনা যায়, ভুতুড়ে ছবি করতে গিয়ে ভয় পাওয়া কিংবা মানসিক রোগীর চরিত্র করতে গিয়ে অভিনয়শিল্পীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়। আপনার এ রকম কোনো অভিজ্ঞতা আছে?
একবার ‘সাইকো’ নামে একটা টেলিছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সেটার কাজ করার পর থেকে মনে হচ্ছিল, ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম। যখন আমি চরিত্রে ঢুকে যাচ্ছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল আমি সত্যিই অসুস্থ বোধ করছি। আমার ওপর কিছু একটা ভর করছিল। সত্যি বলতে, একজন অভিনেতা যখন চরিত্রে ঢোকেন, আর সেটা যদি অস্বাভাবিক কিছু হয়, তাঁর ব্যক্তিজীবনে কিন্তু সেটার প্রভাব পড়ে।

‘ঝুম’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে তমা মির্জার কাজের সুযোগ কতটা?
এ ছবিতে তমার চরিত্রে বৈচিত্র্য আছে। চরিত্রটা তাঁকেই ফুটিয়ে তুলতে হবে। এখানে তাঁর কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।

‘স্বপ্নবাড়ি’ কী অবস্থায় আছে?
‘স্বপ্নবাড়ি’ ছবিটা সেন্সরে চলে গেছে। ছবিটাকে বলা যায় একটা পূর্ণাঙ্গ হরর ছবি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ রকম ছবি তৈরি হয়নি, অন্তত আমি দেখিনি। এতে বিদেশি হরর ছবিগুলোর মতো সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ছবি দেখে কি দর্শকেরা ভয় পাবে?
হলে গিয়ে ছবিটা দেখলে দর্শকেরা ভয় পাবেন, আমি নিশ্চিত। অন্ধকার ঘরে ডাবিং করতে গিয়ে আমি নিজেই ভয় পেয়েছিলাম। এ ছবিটা মানুষের ভালোও লাগবে। আসলে আগে থেকে আমরা কিছুই বলতে পারি না। কিন্তু ‘স্বপ্নবাড়ি’ যে নতুন একটা দুয়ার খুলতে যাচ্ছে, সেটা বলতেই পারি।

ঢাকার চলচ্চিত্রে ‘হরর’ গল্প ঢুকতে শুরু করেছে। আমাদের পরিচালকেরা একে কতটা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারবেন?
হরর ছবিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা দরকার। ‘স্বপ্নবাড়ি’ ছবিতে সেটা সফলভাবে করা হয়েছে। সাউন্ড ইফেক্ট, লাইট সব মিলিয়ে চমৎকার আয়োজন। দর্শক দেখলেই সেটা বুঝবে।