শেষ হলো ঢাকা ডক ল্যাবের দ্বিতীয় আসর

মাস্টারক্লাস নিচ্ছেন শন ম্যাকালিস্টার (বাঁয়ে) এবং সঞ্চালক নিলোৎপল মজুমদার
মাস্টারক্লাস নিচ্ছেন শন ম্যাকালিস্টার (বাঁয়ে) এবং সঞ্চালক নিলোৎপল মজুমদার

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে চলচ্চিত্র নিয়ে আলাপ করছিলেন কয়েকজন তরুণ। তাঁরা ঢাকা ডক ল্যাবের দ্বিতীয় আসরের অংশগ্রহণকারী। তাঁদের আলোচনার বিষয় ছিল কী করে প্রযোজকদের কাছে নিজের প্রকল্পটি ভালো করে উপস্থাপন করা যায়। কথা বলছিলেন তাঁদের একজন বন্ধুর চলচ্চিত্রের কাঠামোটি কীভাবে এগিয়ে নিলে গল্প বলা সহজ হবে, সে বিষয়ে।
দেশি-বিদেশি প্রযোজকদের কাছে প্রকল্প উপস্থাপন কৌশলের ধারণা তরুণ চলচ্চিত্রকারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করছে ঢাকা ডক ল্যাব। বিভিন্ন দেশের প্রযোজকদের নিয়ে কী করে একসঙ্গে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে ধারণা দিতে বিদেশি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক, প্রযোজকদের এনে চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে সংগঠনটি। প্রযোজকেরা তাঁদের পছন্দসই প্রকল্পও বেছে নিচ্ছেন প্রযোজনার জন্য। এবার ছিল ঢাকা ডক ল্যাবের দ্বিতীয় আসর। এটি প্রতিবছর আয়োজন করছে ঢাকা ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম নেটওয়ার্ক নামের একটি সংগঠন।
ঢাকা ডক ল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমায় এটার একটা বড় প্রভাব পড়বে বলে আশা করছি। কারণ, চলচ্চিত্রের বাজারে পিচিং (প্রযোজকদের সামনে প্রকল্প উপস্থাপন) আমাদের এখানে প্রথম। গতবার আমরা শুরু করেছিলাম। যারা প্রযোজক ও প্রশিক্ষক হিসেবে এসেছেন, তাঁরাও খুব উচ্ছ্বসিত। নতুন দেশ, নতুন মানুষ, নতুন নতুন প্রকল্প-সবকিছু নিয়ে তাঁরা বেশ উপভোগ করছেন। সে হিসেবে এটা বড় পাওয়া।’
জার্মানি থেকে এবারের আসরে এসেছেন প্রযোজক হ্যানস রবার্ট আইজেন আওয়ার। বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব থেকে এসেছেন আয়োজক ডরোথি বেনা। ইংল্যান্ডের শন ম্যাকালিস্টারের মতো পরিচালকেরা নিয়েছেন বিশেষ ক্লাস।
গত ৩১ আগস্ট থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে চলে এই আয়োজন। এবারের আসরে অংশ নেন দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ-বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ২৫ জন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা। এদের মধ্যে ১৫ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁদের নতুন প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের প্রকল্প উপস্থাপন করেন।
এবারের আসরের বিজয়ী চলচ্চিত্র হলো-
ইডিএন অ্যাওয়ার্ড: খুশবুতলা (সৌরভ কান্তি দত্ত, ভারত) এবং হিপহপ অ্যান্ড হোপ/দ্য ঢাকা ওয়ে (নাবিলা মারজুক, বাংলাদেশ), ডক স্পোর্ট ইনচেওন অ্যাওয়ার্ড: দ্য লাস্ট ভিজিট (আনোয়ার চৌধুরী, বাংলাদেশ), আইইএফটিএ অ্যাওয়ার্ড: রিদম অব বাবল (ফারজানা ববি, বাংলাদেশ), ডকএজ কলকাতা অ্যাওয়ার্ড: মেকিং প্লেসেস (মেহেদি মোস্তাফা, বাংলাদেশ), বেস্ট প্রজেক্ট (বাংলাদেশ) : দ্য লাস্ট ভিজিট (আনোয়ার চৌধুরী, বাংলাদেশ), বেস্ট প্রজেক্ট (দক্ষিণ এশিয়া) : আই অ্যাম নট হোম (নাভিন পান, ভারত)।