চার ভাষার মিশেলে গান

জাতীয় নাট্যশালায় সোমবার গান করেছে জার্মান ব্যান্ড রাগাবুন্ড। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় নাট্যশালায় সোমবার গান করেছে জার্মান ব্যান্ড রাগাবুন্ড। ছবি: প্রথম আলো

বিশিষ্ট সংগীত ব্যক্তিত্বদের মুখে প্রায়ই বলতে শোনা যায়, সংগীতের একটি শাশ্বত ভাষা আছে, যার আবেদন দেশ-কাল-পাত্রভেদে অভিন্ন। আসলেই তা-ই। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। এদিন ইংরেজি, জার্মান আর সুইসের সঙ্গে লাতিন ভাষার মিশেলে পরিবেশিত গান দারুণ সাড়া ফেলেছে স্থানীয় তরুণ শ্রোতাদের কাছে।

বেশ দ্রুত লয়ে গানগুলো গাওয়া হচ্ছিল। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে র‍্যাগে ঘরানার গানগুলো গাইতে গাইতে মঞ্চ ছেড়ে শ্রোতার মাঝে নেমে আসেন শিল্পী। আনন্দে উচ্ছ্বসিত শ্রোতারা মেতে ওঠেন তাঁর সঙ্গে। দর্শক-শ্রোতারাও আসন ছেড়ে তাল মেলান রাগাবুন্ড ব্যান্ডের গায়কের সঙ্গে। গানের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে নাচ। সুরের আশ্রয়ে তারুণ্যের মাঝে এভাবেই আলোড়ন তুলল জার্মান-সুইস ব্যান্ড রাগাবুন্ড। জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হলো এই ব্যান্ডের কনসার্ট। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গ্যোটে ইনস্টিটিউট।

আয়োজনের শুরুতে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন গ্যোটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক কারস্টেন হাকেনব্রোক এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মিশেল শুলথাইস।

আয়োজকেরা জানান, গ্যোটে ইনস্টিটিউটের জার্মান ভাষা শিক্ষার প্রোগ্রাম ‘স্কুলস: পার্টনার্স ফর দ্য ফিউচার’-এর দশকপূর্তি উপলক্ষে এ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টটি উপভোগ করে নেটওয়ার্কের অংশীদার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ম্যাপেল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং চট্টগ্রামের মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

পাশের দেশ ভারত ও নেপালে সংগীত পরিবেশনার সফর শেষ করে বাংলাদেশে এই কনসার্টে অংশ নেয় রাগাবুন্ড। এদিন জার্মান ও সুইসের সঙ্গে লাতিন ভাষা মিশেলে রাগাবুন্ড পরিবেশন করে ‘বেবিগার্ল’, ‘উ ডেন’, ‘নূর লিবে’, ‘আইএম রেডিও’, ‘চিলিং’, ‘বিউটিফুল ডে’, ‘নাজিমান’, ‘সরি মামা’, ‘কিউরো বাইলার’, ‘বেলিইভ নিচট স্থেন’, ‘ফাস্কো ফাঙ্ক’সহ আরও কিছু গান।

রাগাবুন্ডের জনপ্রিয়তা ইউরোপজুড়ে। ২০০০ সালে মিউনিখে গড়ে ওঠে এটি। দুই ভাই পাচো মেনদোজা ও ডন কারামেল ব্যান্ডের মূল দুই সংগীতশিল্পী। জার্মান হলেও তাঁদের শিকড় লাতিন আমেরিকায়। তাঁরা এখন দক্ষিণ এশিয়ায় ঘুরছেন।