সালমান খান চোর?

সালমান খান
সালমান খান

সালমান খান হবেন চোর? এটা কখনো না ভেবেছেন তাঁর ভক্তরা, না ভেবেছেন তিনি নিজে। ‘ধুম’ ছবির চতুর্থ কিস্তিতে যখন কাজ করার কথা উঠেছিল, সরাসরি ফিরিয়ে দেননি সালমান খান। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার আগে ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর, সালমান খান-অভিষেক বচ্চন একই ছবিতে! তবে শেষ পর্যন্ত কাজটি করতে রাজি হননি সালমান।

শুধু সালমান খানই নন, ‘ধুম’ ছবিতে কাজ করার কথা ছিল রণবীর সিং ও শাহরুখ খানের। অনলাইনে এ নিয়ে হয়েছে বিস্তর কানাঘুষা। তাঁদের মধ্যে সালমানের নামটি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি জানা গেছে, দুটি কারণে সালমান খান অভিনয় করেননি ‘ধুম ৪’ ছবিতে।

‘ধুম ৪’ ছবিতে সালমানের কাজ না করার প্রধান কারণ অভিষেক বচ্চন। কী এক অজ্ঞাত কারণে অভিষেকের সঙ্গে কাজ করতে চান না তিনি। আর অভিষেক ছাড়া এ ছবি কোনোভাবেই করা সম্ভব নয়। চোরের কাছে বোকা হওয়া পুলিশ অফিসারটিকে সরিয়ে দিয়ে ছবির মজা নষ্ট করতে চায় না যশরাজ ফিল্মস। সিরিজের শুরু থেকেই অভিষেক এ ছবির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং সালমানকে এ ছবি বাদ দিতে হয়েছে।

সালমান খান ও অভিষেক বচ্চনকে একত্রে এক ছবিতে এখনো সেভাবে দেখা যায়নি। তাই এ দুই অভিনেতাকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়ার খবরে চমকে উঠেছিল বলিউড। বলিউডের একসময়ের রোমান্টিক জুটি ছিলেন সালমান-ঐশ্বরিয়া। সেই ঐশ্বরিয়া এখন অভিষেকের স্ত্রী। বাস্তব জীবনের ঐশ্বরিয়া-অভিষেক জুটিকে এখন বলা হয় বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’। এই তিন তারকাকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘ধাই আক্সর প্রেম কে’ ছবিতে। সেখানে জুটি বেঁধেছিলেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। সেখানে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সালমান খান। সেখানে তিনি ছিলেন এক ট্রাকচালক।

‘ধুম ৪’ ছবি থেকে বের হয়ে আসার কারণ অবশ্য অন্য কিছু নয়। গণমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করেছেন সালমান খান। তিনি বলেন, এ ধরনের ছবিতে কাজ করলে তাঁকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। নেতিবাচক চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী নন তিনি। কেননা ভক্তরা তাঁকে সব সময় ইতিবাচক চরিত্রে দেখতে চান। ভক্তরা তাঁকে অনুসরণ করেন এবং নায়কের চরিত্রের ছায়া ভক্তদের ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলে। সুতরাং খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি সালমান। তা ছাড়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সব সময় একটি ইতিবাচক বার্তাই দিয়ে যেতে চান তিনি।

কিছুদিন আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় নিজের ছবিগুলো প্রসঙ্গে সালমান স্বীকার করেন যে, তাঁর কিছু ছবি ব্যবসাসফল হয় বটে, কিন্তু সেগুলো আদতে অর্থপূর্ণ কিছু হয় না। পাশাপাশি তিনি এটিও নিশ্চিত করেছেন যে, তাঁর ছবিতে কিন্তু শক্তিশালী সামাজিক বার্তা থাকে। মিড-ডে