উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে বেঙ্গলের নতুন আয়োজন

শুরু হচ্ছে উচ্চাঙ্গসংগীত আসর ‘সুনাদ’
শুরু হচ্ছে উচ্চাঙ্গসংগীত আসর ‘সুনাদ’

উচ্চাঙ্গসংগীতের নতুন আসর শুরু করতে যাচ্ছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছে দুই দিনের আসর ‘সুনাদ’। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় ছায়ানট মিলনায়তনে কণ্ঠ ও যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। থাকবে খেয়াল ও ধ্রুপদ এবং সরোদ, সেতার, তবলা ও এসরাজ বাদন। পরম্পরা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করছেন, কিন্তু মঞ্চে পরিবেশনের সুযোগ পাননি, সে রকম কয়েকজন শিক্ষার্থী এ আসরে সংগীত পরিবেশন করবেন।

আসরের প্রথম দিন সোমবার পরিবেশিত হবে সরোদ। দলীয় সরোদ বাদনে অংশ নেবেন ইশরা ফুলঝুরি খান, ইলহাম ফুলঝুরি খান, সাদ্দাম হোসেন এবং আরেফীন রনি। খেয়াল পরিবেশন করবেন মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, তবলা লহরায় সুপান্থ মজুমদার এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে খেয়াল গাইবেন অলোক সেন।

দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থাকবে দলীয় সেতার, খেয়াল, ধ্রুপদ ও এসরাজ পরিবেশনা। দলীয় সেতার বাদনে অংশ নেবেন প্রসেনজিৎ মণ্ডল, জ্যোতি ব্যানার্জী, জাহাঙ্গীর আলম শ্রাবণ, মোহাম্মদ কাওসার, সোহিনী মজুমদার, সামিন ইয়াসার ইফতি এবং সুব্রত বিশ্বাস। খেয়াল পরিবেশন করবেন কানিজ হুসনা আহম্মাদী, ধ্রুপদ পরিবেশন করবেন অভিজিৎ কুণ্ডু এবং টিংকু শীল। দলীয় এসরাজ বাদনে অংশ নেবেন সৈয়দা রায়হান, মো. রায়হানুল আমিন, রনজিত রায়, শুক্লা হালদার, ইসমাত আরা রুচি, শৌণক দেবনাথ ঋক, সৌমিত রায়, গৌরাঙ্গ কৃষ্ণ দাস এবং এসরাজের শিক্ষাগুরু দেবাশীষ হালদার।

প্রথম দিন স্বাগত বক্তব্য ও শিক্ষানবিশ শিল্পীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেবেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সংগীত বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম দিপু জানিয়েছেন, প্রতি মাসে উচ্চাঙ্গসংগীতের এ আসরটির আয়োজন করা হবে। পরের আসরটি হবে টাঙ্গাইলে। সেখানকার স্থানীয় সংগঠন সরোজপঞ্চমের সঙ্গে যৌথভাবে ওই আসরে পরম্পরার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও পরিবেশনায় অংশ নেবেন সংগঠনটির শিল্পীরা।

নিয়মিত সংগীত আসর, বাংলা গানের সিডি প্রকাশের পাশাপাশি আবারও বার্ষিক উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। দেশে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচার ও প্রসারে নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে সংগীতের নবীন ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের সংগীতে আরও পারদর্শী করে তুলতে সংগীতালয় প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বের সব থেকে বড় ও দীর্ঘ উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের আয়োজন।