চার কবির গানও করেন সেমন্তী
শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়, সেমন্তী মঞ্জরি গাইতে চান অতুল প্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, কাজী নজরুল ইসলাম এবং রজনীকান্ত সেনের গান। কিন্তু ঢাকায় পঞ্চকবির গান করার সুযোগ তাঁর মেলে না কিছুতেই। তাঁর প্রত্যাশা, লোকে জানুক, রবীন্দ্রসংগীতের শিল্পী হলেও বাকি চার কবির গানও করেন সেমন্তী মঞ্জরি।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ভারতের আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে এক সংগীতসন্ধ্যায় গান করবেন ঢাকার রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সেমন্তী মঞ্জরি। ‘বেলাশেষের সুর’ নামের এ আয়োজন করেছে স্থানীয় সংগঠন সোহিনী। সেমন্তী ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে গাইবেন কলকাতার তিন শিল্পী। সেমন্তী জানান, ঘণ্টাখানেকের কিছু বেশি সময় গান করবেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে শুধু রবীন্দ্রনাথের গান নয়, বাকি চার কবির গানও শোনাবেন সেমন্তী।
ঢাকায় পঞ্চকবির গান করেন না কেন? সেমন্তী বলেন, ‘খুব ইচ্ছে করে, কিন্তু সুযোগ হয় না। ঢাকার অনুষ্ঠানগুলোতে বড়জোর দুটো গান করার সুযোগ পাই। আমি চাই, লোকে জানুক যে আমি বাকি চার কবির গানও গাই। যখন লন্ডনে ছিলাম, সেখানকার অনুষ্ঠানগুলোতে আয়োজকেরা আমাকে বাকি চার কবির গানও গাইতে বলতেন। ঢাকায় সেটা হয় না।’
আগরতলায় গাইতে যাওয়া প্রসঙ্গে সেমন্তী জানান, আজ থেকে তিন বছর আগে একবার আগরতলা থেকে গান করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তিনি। বিশেষ এক কারণে তখন যাওয়া হয়নি তাঁর। এই অনুষ্ঠানের অন্য শিল্পীরা হলেন কলকাতার চৈতালি মজুমদার, সোহিনী বন্দ্যোপাধ্যায়, অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তবলায় অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে গতকাল ছিল চৈতালির একক সংগীতসন্ধ্যা।
একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজ করেন সেমন্তী মঞ্জরি। পাশাপাশি গান শেখান এবং নিজে চর্চা করেন। এত কিছুর সমন্বয় কীভাবে করেন? তরুণ এই শিল্পী বলেন, ‘কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তবে চেষ্টা করলে পারা যায়।’