মিশাকে সামলেছি, মীরা শুটিং করেছে

শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত
শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত

দু–দুটো সুখবর বলিউড অভিনেতা শহিদ কাপুরের জন্য। তাঁর অভিনীত ছবি বাত্তি গুল মিটার চালু মুক্তি পেল সম্প্রতি। তাঁর আগেই দ্বিতীয়বার বাবা হলেন তিনি। একদিকে অভিনয়, অন্যদিকে পরিবার। সমানভাবে সামলে চলেছেন এ অভিনেতা। এর নেপথ্যের গল্প কী? শহিদ বললেন, স্বামী–স্ত্রীর দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা সবার আগে জরুরি। প্রথম আলোর সঙ্গে হোটেল সান এন স্যান্ডে এক আড্ডায় উঠে এল শহিদের জীবনের এমন নানা কথা।

স্ত্রী মীরা রাজপুতও স্বামীর পথ ধরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। তখন ঘর সামলেছেন কে? শহিদ বলেন, ‘আমি বাড়িতে থেকে মিশাকে সামলেছি, আর মীরা শুটিং করেছে। আসলে আমরা দুজনে খুব ভালো বন্ধু। একে অপরকে আমরা সম্মান করি। আমাদের মতের অনেক অমিল আছে। তবে আমি সব সময় মীরাকে সব বিষয়ে সমর্থন করতে চেষ্টা করি। কারণ, ও আমার ক্ষেত্রেও খুব সাপোর্টিভ। আমাকে বিয়ে করাটা মীরার জন্য খুব একটা সহজ কথা ছিল না। কারণ, ও ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসেছে।’ দ্বিতীয়বার বাবা হয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন শহিদ। তাঁর জীবনের অনেক কিছুই নাকি বদলে গেছে বাবা হওয়ার কল্যাণে। শহিদ বলেন, ‘সন্তান আসার পর বাবা-মায়ের জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। প্রথমে একা ছিলাম। এরপর বিয়ে করলাম। আর বিয়ে করার পর আমি নিপাট ভদ্রলোক হলাম। মেয়ে হওয়ার পর তো আমি একদম অন্য মানুষ।’

হায়দার, উড়তা পাঞ্জাব, বাত্তি গুল মিটার চালু—শহিদের সাম্প্রতিক ছবিগুলোর বিষয় দেখলে সামাজিক ইস্যু বেশি চোখে পড়ে। তবে কি কোনো নির্দিষ্ট ইমেজ তৈরি করতে চান তিনি? শহিদের উত্তর, একদম না। তিনি ইমেজে বিশ্বাসী নন। তবে এই ছবিগুলো কল্পকথার চেয়ে নিজেদের কথা বেশি বলছে। দেশের মানুষ নিজেদের কথাই বেশি শুনতে চায়। শহিদের ভাষ্য, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে আমিও নিজের ইমেজ নিয়ে খুবই বিভ্রান্তিতে থাকতাম। গত ছয় বছরে এসব ক্লিশে ধারণা ভেঙেছে। গত কয়েক বছরে আমার ছবির নির্বাচন দেখলে বুঝতে পারবেন। আমি কখনো আমাকে রিপিট করিনি। এখন দর্শকও অভিনেতার ইমেজে বিশ্বাসী নয়। তাঁরা ভালো কনটেন্টের ছবি দেখতে পছন্দ করেন।’ শহিদের সঙ্গে আড্ডায় তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্তদের চর্চার কথাও উঠে আসে। সংবাদমাধ্যম যখন তারকাদের ব্যক্তিগত দুনিয়ায় হানা দেয়, সেটা কীভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদ বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের পেছনে সংবাদমাধ্যমের পিছু লাগা নিয়ে আমার আপত্তি আছে। অন্তত তাদের (তারকার সন্তানদের) রেহাই দেওয়া উচিত। কারণ, এসব বাচ্চাদের মনের ওপর চাপ ফেলে।’