দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে আঞ্চলিক ভাষার 'ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা'

ঈদে প্রশংসা কুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদের তৃতীয় দিনে প্রচারিত হয় আঞ্চলিক ভাষায় বিশেষভাবে নির্মিত এই রম্য অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
ঈদে প্রশংসা কুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদের তৃতীয় দিনে প্রচারিত হয় আঞ্চলিক ভাষায় বিশেষভাবে নির্মিত এই রম্য অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

এবারের ঈদে প্রশংসা কুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদের তৃতীয় দিনে প্রচারিত হয় আঞ্চলিক ভাষায় বিশেষভাবে নির্মিত এই রম্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও পরিকল্পনা করেন তরুণ উপস্থাপক ও নির্মাতা সৈয়দ আশিক।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিক্ষামূলক বিতর্ক অনুষ্ঠানে নতুন সংযোজন হচ্ছে আঞ্চলিক ধারা, যেখানে বক্তারা বিশেষ অঞ্চলের ভাষা যেমন নোয়াখালী, বরিশাল, কুমিল্লা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যশোর, পুরান ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলের ভাষায় নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরে নিজেরা কেন সেরা, তা ব্যাখ্যা করেন। সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের দোষত্রুটি যুক্তিতর্কের মাধ্যমে হাস্যরস দিয়ে তুলে ধরেন।

গত ঈদুল আজহায় টিভির পর্দায় আঞ্চলিক বিতর্ক ‘বাংলায় আমরাই সেরা’ বাংলাদেশে বিনোদন জগতে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশেষ করে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এবং ইউটিউবে ব্যাপক ভাইরাল হয়। মানুষের মুঠোফোনে এই বিতর্ক অনুষ্ঠান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন সুবিধা, অসুবিধা, অভ্যাস, আচরণ, ভালো-মন্দ, সুনাম-দুর্নাম আঞ্চলিক ভাষার নতুন জগৎ তৈরি করে। প্রথম অনুষ্ঠানের সাফল্যর পর সৈয়দ আশিক নির্মাণ করেন আঞ্চলিক ভাষায় নতুন অনুষ্ঠান ‘গুণীজন সংবর্ধনা’ যা গত রোজার ঈদে দর্শকের প্রশংসা অর্জন করে। 

ঈদে প্রশংসা কুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদের তৃতীয় দিনে প্রচারিত হয় আঞ্চলিক ভাষায় বিশেষভাবে নির্মিত এই রম্য অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
ঈদে প্রশংসা কুড়িয়েছে ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদের তৃতীয় দিনে প্রচারিত হয় আঞ্চলিক ভাষায় বিশেষভাবে নির্মিত এই রম্য অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

এই ঈদে নির্মাণ করেন আঞ্চলিক ভাষায় ‘ভ্রাম্যমাণ পেশাজীবী সংবর্ধনা’ যেখানে পেশাজীবী হিসেবে কবিরাজ, হকার, মলম বিক্রেতা, বই বিক্রেতা, ভিক্ষুক, পথশিল্পী, বিউটিশিয়ান, জ্যোতিষ, পথচারী চরিত্র, যাঁরা নিজেদের পেশা কেন সেরা, তা মজার মজার কথা,কৌতুক এবং যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেন। এখানেও পেশাজীবীদের ভাষা ছিল বরাবরের মতোই অঞ্চলভিত্তিক।

বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় আঞ্চলিক ভাষা যেমন বরিশাল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন ভাষায় নিজেদের পেশা কেন সেরা, তার হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপনা দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করে। এ ধরনের অনুষ্ঠানে বিনোদনের পাশাপাশি ইতিহাস, ঐতিহ্য, যুক্তিবোধ সুস্থধারার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।