বিদায় 'ক্যাপ্টেন আমেরিকা'

‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ক্রিস ইভানস
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ক্রিস ইভানস

‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র চরিত্র থেকে ইস্তফা নিলেন অভিনেতা ক্রিস ইভানস। ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’ থেকে শুরু করে সিরিজের ১০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। মারভেল মুভিজের ২২তম ছবি ‘অ্যাভেঞ্জারস ফোর’-এর মধ্য দিয়ে এ সিরিজ থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার মাইক্রো ব্লগ টুইটারে একটি পোস্ট লিখে ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্র থেকে নিজের বিদায়ের খবর জানান ইভানস। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে “অ্যাভেঞ্জারস ফোর” শেষ। পুরোনো দিনগুলো ভীষণ আবেগপূর্ণ। ক্যামেরার সামনে-পেছনের যত মানুষ এবং দর্শক, সবাইকে ধন্যবাদ স্মৃতিগুলোর জন্য। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’

২০০৮ সালের ‘আয়রন ম্যান’ ছবির পর থেকেই ভালো ছবির নির্মাতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় দ্য মারভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স। ২০১১ সালে মুক্তি পায় তাদের ‘ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজের পঞ্চম ছবি। সেখানে স্টিভ রজার্স নামের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হন নতুন দর্শকেরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজিদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য যেকোনো মূল্যে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান। তাঁকে ভয়ানক সহনশীল যোদ্ধায় পরিণত করার জন্য তাঁর শরীরে একটি ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়। বাকিটা ইতিহাস। এরপর থেকে ক্যাপ্টেন লড়ে গেছেন নাজি, ভিনগ্রহবাসী, দুষ্টু রোবট এমনকি নিজের সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গেও। সেই যুগের অবসান হতে যাচ্ছে। টুইটারে সবাই তাঁকে বিদায় জানাচ্ছেন, তাঁর অভাব অনুভব করার কথাও লিখে দুঃখ প্রকাশ করছেন।

ক্রিস ইভানস
ক্রিস ইভানস

ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা চরিত্র থেকে ইভানসের বিদায় নেওয়ার ঘটনা বিস্ময়কর কিছু নয়। আগেই বলেছিলেন তিনি, ‘কেউ ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার আগেই নিজে থেকে বের হয়ে যাওয়া উত্তম।’ ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছেন, ‘অ্যাভেঞ্জারস ফোর’-এর পর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর বেশির ভাগেরই কোনো খবর নেই। ‘অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার’-এর সিক্যুয়াল এই ছবিতে অনেক চরিত্রকে মেরে ফেলা হবে। আসলে কী ঘটবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগামী বছর পর্যন্ত কষ্ট করে অপেক্ষা করতে হবে।

কমিক চরিত্রে ক্রিস ইভানসের এটাই প্রথম কাজ নয়। এর আগে ২০০৫ ও ২০০৭ সালে জেসিকা আলবার সঙ্গে ‘ফ্যানটাসটিক ফোর’-এর দুটি ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। ইভানস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পুতুল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। বিবিসি