'আমি বাসায় যেতে চাই'
‘আমি সুস্থ হতে চাই আর বাসায় যেতে চাই।’ বললেন সোনালি বেন্দ্রে। বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এই তারকা এখন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। প্রচণ্ড মনোবল তাঁর। চিকিৎসকদের আশা, ইতিবাচক কিছু ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এবার সোনালি বেন্দ্রে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন। শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানতাম, যদি ভয়কে আমার ওপর দখল নিতে দিই, তাহলে আমার যাত্রা থেমে যাবে। আমরা নিজেদের যে গল্পগুলো শোনাই, সেগুলো আসলে ভয়ের জন্ম দেয়। তাই আমি একদম অন্য ধরনের গল্প বলতে শুরু করি।’ যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় লেখক চেরিল স্ট্রেইডের এই উক্তি দারুণ পছন্দ সোনালি বেন্দ্রের। কারণ তা তাঁর জীবনের সঙ্গে খুব মিলে গেছে। এই কয়েকটি লাইনের মাঝে তিনি শক্তি খুঁজে পেয়েছেন। তাই এবার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টের শুরুতেই লিখেছেন উক্তিটি। সোনালি বেন্দ্রে বিশ্বাস করেন, এই উক্তিটি তাঁকে নতুন কোনো গল্প বলতে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।
ক্যানসারের চিকিৎসার ভয়াবহতা নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে অজানা ভয় আর আশঙ্কা আমাকে ঘিরে ধরেছে। একদিকে শরীরের কষ্ট আর অন্যদিকে মানসিক অস্থিরতা আমাকে শেষ করে দেয়। যখন কেমোথেরাপি দেওয়া হয়, তখন শরীরে কঠিন যন্ত্রণা অনুভব করেছি। সেই যন্ত্রণা অসহ্য মনে হয়। নিজেকে সামলে রাখতে পারি না, কেঁদে ফেলি। এর মাঝেও নিজের মনকে শক্ত রাখার চেষ্টা করি।’
ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন, তবু হাসতে ভোলেননি সোনালি বেন্দ্রে। সব বাধা জয় করে চলেছেন। তিনি মনে করেন, এখন ক্যানসার আক্রান্ত অনেকেই তাঁকে দেখে চিকিৎসার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হবে। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবে। পাশাপাশি যারা জীবনে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে, তারাও সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারবে। প্রতিকূল সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে।
নিউইয়র্কে এখন চিকিৎসা করাচ্ছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ঋষি কাপুর। অনেকেই ধারণা করছেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর সোনালি বেন্দ্রে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন ঋষি কাপুরের স্ত্রী নীতু কাপুর। এ সময় সোনালি বেন্দ্রের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী গোল্ডি বহেল আর ননদ সৃষ্টি বহেল। সব মিলিয়ে যেন ছোটখাটো গেট টুগেদার হয়ে গেল সেখানে। এর মধ্যে সেখানে বলিউডের আরেক বরেণ্য অভিনেতা অনুপম খেরের সঙ্গেও দেখা হলো সোনালি বেন্দ্রের।
সোনালি বেন্দ্রের শরীরে বাসা বেঁধেছে হাই গ্রেড ক্যানসার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়া এ রোগের চতুর্থ স্তরে রয়েছেন তিনি, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।