জামিন পেলেন ন্যানসি

নেত্রকোনায় আদালত থেকে বের হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন ন্যানসি
নেত্রকোনায় আদালত থেকে বের হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন ন্যানসি

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি জামিন পেয়েছেন। ছোট ভাইয়ের সাবেক স্ত্রী  সামিউন নাহার শানুর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় আজ মঙ্গলবার নেত্রকোনার একটি আদালত স্বামীসহ ন্যানসিকে জামিনের আদেশ দেন। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যানসি।

জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে এ বছরের ২৭ আগস্ট ন্যানসির ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানি তাঁর স্ত্রী সামিউন নাহারকে তালাক দেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ন্যানসি, তাঁর স্বামী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা করেন  সামিউন নাহার। মামলার পর ন্যানসি চার সপ্তাহের জন্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। জামিন শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আলী মাসুদ শেখের আদালতে স্বামীসহ হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।

ন্যানসির আইনজীবী আল আমিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা। এই মামলা দেশের স্বনামধন্য গায়িকা ন্যানসির সম্মানহানির জন্য করা হয়েছে। আদালতকে আমরা বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। ন্যানসি আসামি হওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নিই। চার সপ্তাহ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল আদালতে স্বামীসহ স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন ন্যানসি। গায়িকার সামাজিক অবস্থান ও মানমর্যাদার কথা বিবেচনা করে আদালত ন্যানসি আর তাঁর স্বামীকে জামিন দেন।’

এদিকে স্বামীসহ জামিন পাওয়ায় আইনজীবীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ন্যানসি।

মামলার পরই প্রথম আলোকে ন্যানসি বলেন, ‘আমাকে কেন মামলায় জড়ানো হলো? শুধু আমাকে না, সঙ্গে আমার স্বামীকেও জড়ানো হয়েছে। এর মানে কী! আমার ভাই তাঁর সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছে, তা তো আমার জানার কথা না। আমি থাকি ময়মনসিংহে আর ভাই নেত্রকোনায়। হঠাৎ জানতে পারলাম, আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

মামলার অভিযোগে শাহরিয়ার আমান সানির তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সামিউন নাহার শানু উল্লেখ করেন, গত ২৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে শানুকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেন সানি। টাকা না দিলে তাঁকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শানুকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালান সানি। এ সময় শানুর চিৎকারে লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে শানুর বাবার বাড়ির লোকজন তাঁকে নিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শানু বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (খ) ধারায় মামলা করেন।

এ ব্যাপারে ন্যানসি বলেন, ‘শানু যা অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইন আমাদের নারীদের অনেক সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কেউ কেউ তার অপব্যবহার করছে। আমি মনে করছি, শানু সেই সুযোগটি নিয়েছে।’