'হ্যাশট্যাগ মি টু' পুরুষদেরও আন্দোলন

চিত্রাঙ্গদা সিং
চিত্রাঙ্গদা সিং

‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ পুরুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ নয়, আবার পুরুষ বনাম নারী—এমনটাও ভাবার কারণ নেই। এ আন্দোলন সমাজকে নিরাপদ করবে। কেউ যদি ভাবেন হ্যাশট্যাগ মি টু পুরুষদের দোষী সাব্যস্ত করার একটা অস্ত্র, তাহলে ভুল হবে। এ আন্দোলন কিন্তু পুরুষদের জন্যও। হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন বলিউড তারকা চিত্রাঙ্গদা সিং। ২৬ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘বাজার’। 

চিত্রাঙ্গদা সিং
চিত্রাঙ্গদা সিং

এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান, রাধিকা আপ্তে, রোহন মেহরা, ডেনজেল স্মিথ প্রমুখ। সম্প্রতি চিত্রাঙ্গদা সিং বলেছেন, ‘বাবুমশায় বন্দুকবাজ’ ছবিতে কাজ করার সময় পরিচালক কুশান নন্দী আর সহশিল্পী অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন। আর পরে একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে দম্ভ করে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি বলেছেন, ‘আমি দু-দুবার মজা নিয়েছি।’ সহশিল্পীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য শুনে অবাক হন চিত্রাঙ্গদা সিং। আর তা তাঁকে খুবই আহত করেছে।

হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে চিত্রাঙ্গদা সিং আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি সমাজের পুরুষেরা এগিয়ে না আসে, ক্ষতিগ্রস্ত নারীর পাশে না দাঁড়ান কিংবা যদি একজন নারী কর্মক্ষেত্রে নিজেকে নিরাপদ মনে না করে, তাহলে এ আন্দোলন থেকে ইতিবাচক কোনো ফল বেরিয়ে আসবে না।’

চিত্রাঙ্গদা সিং
চিত্রাঙ্গদা সিং

সম্প্রতি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন বলিউডের সাবেক তারকা ও সাবেক ভারত সুন্দরী তনুশ্রী দত্ত। ১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা এত দিন পর তিনি সামনে এনেছেন। এ ব্যাপারে চিত্রাঙ্গদা সিং বলেন, ‘আমি তাঁকে বিশ্বাস করি। নানা পাটেকর এ নিয়ে কী বলতে চান, তা–ও শুনতে চাই। যদি সত্য থাকে, তবে তা অবশ্যই শুনতে হবে। সেটা তিন বছর পরে বলছেন, না পাঁচ বছর নাকি দশ বছর পর, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

‘বাবুমশায় বন্দুকবাজ’ ছবির পরিচালক কুশান নন্দীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে চিত্রাঙ্গদা সিং বলেছেন, ‘ছবিটিতে কাজ করার সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল, একসময় ছবিটি থেকে আমি বের হয়ে যাই। তত দিনে ছবির কিছু শুটিংও করেছি। এরপরও ছবিটি ছেড়ে দিই।’

চিত্রাঙ্গদা সিং
চিত্রাঙ্গদা সিং

কুশান নন্দী আপনার সঙ্গে কী আচরণ করেছিলেন? চিত্রাঙ্গদা সিং বলেন, ‘সেদিন নওয়াজের সঙ্গে আমার একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুট হচ্ছিল। আর আমি এ ধরনের দৃশ্যে একদমই স্বতঃস্ফূর্ত ছিলাম না। দুবার টেক দিয়েছি। কিন্তু পরিচালক আমাকে আবারও দৃশ্যটি করতে বলেন। তখন মনে হয়েছিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে দিয়ে বারবার তা করানো হচ্ছে। কুশান সেদিন আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছিলেন, তা ভাবতেই পারি না। সেদিন আমি সেটে কেঁদেছিলাম। আমি শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসি। এমনকি আমি ছবিটাও ছেড়ে দিই।’