আবার আলোচনায় আলিশার মামলা

অনু মালিক ও আলিশা চিনয়
অনু মালিক ও আলিশা চিনয়

মাসালা ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অনু মালিকের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আলিশা চিনয় যৌন নির্যাতনের মামলা করেছিলেন। তিনি এ মামলায় ২৬ লাখ ৬০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। ওই সময় আলিশা চিনয়ের বিরুদ্ধে অনু মালিকও আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় ২ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। কিন্তু আলিশার সেই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

এবার আলিশা চিনয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অনু মালিকের বিরুদ্ধে যখন মামলা করি, তখন লড়াইটা ছিল আমার একার। মামলার রায় ছিল অভূতপূর্ব। আদালত তাঁকে সংযমী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর অনু মালিক বারবার আমার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করেছে, আমি তাঁকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিই।’ আলিশা চিনয় আরও জানান, যৌন হেনস্তার প্রতিটি ঘটনা কিন্তু একটির চেয়ে অন্যটি একদম আলাদা। যাঁরা এর শিকার, এ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন, এর যন্ত্রণা শুধু তাঁরাই বোঝেন।

১৯৯৫ সালে বেরিয়েছিল আলিশা চিনয়ের পপ অ্যালবাম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। হিন্দি চলচ্চিত্রের গানের অ্যালবামের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দারুণ সফল হয়। তখন বলা হয়েছিল, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হলো প্রথম ‘ইন্ডিপপ’ অ্যালবাম, যা দেশে ও দেশের বাইরে হিন্দি চলচ্চিত্রের গানের অ্যালবামের বিক্রিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

ঠিক ওই সময় আলিশা চিনয়কে যৌন হেনস্তা করেন অনু মালিক। ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি আলিশা চিনয়। মামলা করেন। সামাজিকভাবে চাপের মুখে পড়েন। অনু মালিকের সঙ্গে আর কোনো দিন কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ট্রমা কাটাতে আলিবাগের বাংলোয় অনেক দিন নিজেকে বন্দী করে রাখেন তিনি। পরে অবশ্য গান নিয়ে একটি রিয়েলিটি শোতে অনু মালিক ও আলিশা চিনয়কে বিচারকের ভূমিকায় একসঙ্গে দেখা গেছে।

এদিকে বলিউডের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ‘#মি টু’ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, কর্মরত নারীদের মর্যাদা ও সম্মান বজায় রাখা দরকার। কেউ তা না করলে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে দানিকা ডি সুজা নামের এক নারী মুম্বাইয়ের পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি অন্তত দুজন নারীকে চেনেন, যাঁদের অনু মালিক যৌন হেনস্তা করেছেন। দানিকার বান্ধবীকে গাড়িতে ‘সাউন্ড বাইট’ দিতে গিয়ে তাঁর উরুতে হাত দেন অনু। ওই সময় গাড়িতে ক্যামেরাম্যানও ছিলেন। কিন্তু তিনি সামনের আসনে থাকায় কিছুই বুঝতে পারেননি। নারীদের ‘ডার্লিং’, ‘সুইট বেবি’ বলে তাঁদের অস্বস্তিতে ফেলেন অনু।