'বিশ্ব জানছে বাংলার লোকসংগীত কত সমৃদ্ধ'

সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী, শিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগম, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার মাহমুদ হোসেন এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের হেড অব অপারেশন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ
সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী, শিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগম, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার মাহমুদ হোসেন এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের হেড অব অপারেশন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ
>
অঞ্জন চৌধুরী
অঞ্জন চৌধুরী
তিনবার সফল আয়োজনের পর আবার ঘোষণা দেওয়া হলো উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের আসর ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৮ ’-এর। সান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ উৎসবের মূল পৃষ্ঠপোষক মেরিল। সহযোগী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, গ্রামীণফোন ও রাঁধুনী। গত সোমবার রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে এই উৎসবের বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সান ফাউন্ডেশন ও সান কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী। এবারের উৎসব নিয়ে বিস্তারিত বললেন তিনি।

সান ফাউন্ডেশন তো এবারের উৎসবের মূল আয়োজক। এ ফাউন্ডেশন গঠনের মূল লক্ষ্য কী?
আমাদের দেশের আনাচকানাচে ছড়িয়ে আছেন নানা ধরনের লোকসংগীত ও শিল্পী। তাঁদের অনেক কালজয়ী সৃষ্টি আছে। এসব শিল্পী ভালো গান করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখ লাখ হিট হয়, প্রশংসিত হন বটে, কিন্তু তাঁরা কোনো টাকা পান না। এ পরিস্থিতিতে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে লোকসংগীতকে পৌঁছে দেওয়া এবং এর সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করার লক্ষ্যে আমরা সান ফাউন্ডেশন করেছি। বাংলাদেশের লোকসংগীতশিল্পীদের রয়্যালটি এবং তাঁদের স্বত্ব নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সান ফাউন্ডেশন কাজ করবে। আমাদের লোকসংগীতের বিশাল রত্নভান্ডার বিশ্বের দরবারে পরিচিত করার এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

গেল তিনবার বেশ সফলভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। আবার জানতে চাই এমন উৎসবের চিন্তা কীভাবে মাথায় এল?
লোকজ সংগীতের তাল, লয় ও ছন্দের অপূর্ব সংমিশ্রণে খুঁজে পাওয়া যায় আত্মার শান্তি ও স্রষ্টার সান্নিধ্য। লোকসংগীত বাঙালি জাতি হাজার বছরের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আমাদের দেশের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের লোকসংগীত ও শিল্পী। কিন্তু এই সংগীত ছড়িয়ে দেওয়ার বা শোনার কোনো জাতীয় প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেশে ছিল না। আমরা এ রকম একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্যই নিয়মিত এই আয়োজন করছি। এই যে লোকসংগীতের উৎসবের সূত্রপাত হয়েছিল ম্যাজিক বাউলিয়ানা থেকে। ম্যাজিক বাউলিয়ানা ছিল একেবারেই আমাদের নিজস্ব বাঙালি শিল্পীদের নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা। ম্যাজিক বাউলিয়ানা থেকেই আমাদের চিন্তায় এসেছে এটাকে কীভাবে আমরা ভিন্নমাত্রা দিতে পারি এবং এতে আন্তর্জাতিক ছোঁয়া লাগাতে পারি। তাই করলাম এবং সফলও হয়েছি। একই মঞ্চে দেশের বাইরের লোকসংগীতশিল্পীরাও গান শোনান। ফলে উৎসবটি আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। উৎসবটির ফলে বিশ্ব জানছে বাংলার লোকসংগীত কত সমৃদ্ধ।

আচ্ছা, এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব বলবেন?
প্রতিবারই যে রকম হয়, নতুন নতুন শিল্পীদের আমরা পরিচয় করিয়ে দিই। কিছু শিল্পী থাকেন পুরোনো, অন্যরা নতুন। এটাই এর বিশেষত্ব। দুই প্রজন্মের সম্মিলনটা যাতে ভারসাম্যপূর্ণ হয়, এবারও তা–ই করছি। আসলে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ ভালো শিল্পী বাছাই করে দর্শকদের সামনে হাজির করা। আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে এটি যথাযথভাবে করার চেষ্টা করেছি এবারও। কারণ, এই উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দর্শক-শ্রোতাদের বিনোদন দেওয়া। পাশাপাশি এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা নিজেদের দেশের লোকসংগীতকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই। এ ক্ষেত্রে আরেকটি কথা আমি বলব, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলে এক্সপোজারটা একটু দ্রুত পাওয়া যায়। এবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাতটি দেশ থেকে ১৭৪ জন শিল্পী একই মঞ্চে হাজির হচ্ছেন।