সাধারণ শেখ হাসিনার দেখা মিলবে ১৬ নভেম্বর

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ তথ্যচিত্রের বিষয়ে জানানো হয়। ছবি: আহমেদ দীপ্ত
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ তথ্যচিত্রের বিষয়ে জানানো হয়। ছবি: আহমেদ দীপ্ত

‘প্রধানমন্ত্রীকে আমরা সব সময় নিউজে দেখি, কিন্তু এই ডকু-ড্রামাতে তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছি। তাঁর জীবনের ঘটনাগুলো ধরার চেষ্টা করেছি। এটা খুবই সংবেদনশীল। শেখ হাসিনাকে নিউজের উপাদান নয়, তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এসব কথা বলেন ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ মুক্তি পাচ্ছে ১৬ নভেম্বর। ঢাকার তিনটি ও চট্টগ্রামের একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে এই তথ্যচিত্র। ঢাকার মধুমিতা, স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাস এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে দেখানো হবে ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই ও অ্যাপলবক্স ফিল্মসের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে ডকু-ড্রামা ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’। দুই বছরের গবেষণা ও তিন বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় এই ডকু-ড্রামা নির্মিত হয়েছে। এর প্রযোজক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ৭০ মিনিট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন পরিচালক রেজাউর রহমান খান পিপলু।

রেজাউর রহমান খান পিপলু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনে এত উত্থান-পতন, এগুলো দেখেই কাজ করার আগ্রহ পেয়েছি। এটা খুবই সাধারণ একটা মানুষের উত্থানের একটি গল্প।’

প্রধানমন্ত্রী কি চূড়ান্ত তথ্যচিত্রটি দেখেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পরিচালক রেজাউর রহমান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাননি। তবে আমরা তাঁকে জোর করে দেখিয়েছি। পরিচালক হিসেবে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।’

আসন্ন নির্বাচনের আগে তথ্যচিত্রটি প্রভাব ফেলবে কি না? এমন প্রশ্নে পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এই ধরনের উদ্দেশ্য ছিল না। তথ্যচিত্রটি নির্বাচনে বা রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে আমরা অতটা ভাবিনি। আমরা শুধু একজন সাধারণ কন্যার গল্প বলার চেষ্টা করেছি।’

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তথ্যচিত্রের ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড ব্যাপ্তির একটি ট্রেলার প্রকাশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার বর্ণনায় ওই ট্রেলারটি ব্যাপক সাড়া ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, ‘১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় দেখেছি। কিন্তু এই তথ্যচিত্রে তাঁকে আমরা দেখব একান্ত নিভৃতে, একা মানুষটাকে, একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ গাউসুল আলম ও শিব কুমার শীল।