দুই দিনের উৎসবে ১২০০ শিল্পী!

জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদের সংবাদ সম্মেলন
জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদের সংবাদ সম্মেলন

১৯ বছর ধরে বছরে এক দিন পালন করা হতো নবান্ন উৎসব। এ বছর তা হবে দুই দিন। দুই দিনের এই আয়োজনে ১২০০ শিল্পী বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেবেন। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক শাহরিয়ার সালাম। এখানে আরও জানানো হয়, দুই দিনের এই উৎসবে ৬৭টি সংগঠনের সাংস্কৃতিক কর্মীসহ মোট ১২০০ শিল্পী গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করবেন। উৎসবে থাকবে টাঙ্গাইলের সংযাত্রা ও নড়াইলের পটগান। পাশাপাশি ভারতের আসাম থেকে আসা শিল্পীরাও পরিবেশনায় অংশ নেবেন।

‘আমাদের বেশির ভাগ লোকজ ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এই যেমন গম্ভীরা, কবিগান, লাঠিখেলা, পুতুল নাচ—এসব তো এখনকার ছেলেমেয়েরা জানে না। এই প্রজন্মকে হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্তে করা, শেকড়ের সন্ধান দেওয়া আমাদের উৎসবের প্রধান লক্ষ্য।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রথম আলোকে বললেন অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি রেস্তোরাঁয় নবান্ন উৎসব সম্পর্ক বিস্তারিত জানানো হয়।

এখানে জানানো হয়, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব। প্রথম দিন সকাল ৭টা ১ মিনিটে শুরু হবে অনুষ্ঠান। প্রথম পর্ব চলবে সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর বেলা ৩টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উৎসব চলবে একটানা।

নবান্ন উৎসবের চেয়ারপারসন লায়লা হাসান বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের অনেক বাচ্চা পিঠাপুলির নাম জানে না, চেনে না। নবান্ন উৎসবে নানা ধরনের পিঠা থাকে। বিশ্বায়নের কারণে আমাদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও ঝুঁকি রয়েছে। সবকিছু চিন্তা করে এই উৎসবের আয়োজন করা। এ ধরনের উৎসবের মাধ্যমে বাঙালিয়ানা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলছি। এটা একটা মেলবন্ধন। ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সব ধরনের মানুষ এই উৎসবে আসেন।’

নবান্ন উৎসবের এটি ২০তম আসর। ১৪০৬ বঙ্গাব্দ থেকে এই উৎসব চালু করে জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদ। লায়লা হাসান বলেন, ‘ঢাকা শহরের অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের নিয়ে আমাদের এই আয়োজনে আসেন। এবার যেহেতু দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করছি, সাড়া মিলবে বেশি।’