সারেগামাপা থেকে বলছি

>

অবন্তী সিঁথি ও মাঈনুল আহসান নোবেল। ছবি: সুমন ইউসুফ
অবন্তী সিঁথি ও মাঈনুল আহসান নোবেল। ছবি: সুমন ইউসুফ

গত মাসে পূজায় বাড়ি এসেছিলেন অবন্তী সিঁথিমাঈনুল আহসান নোবেল। আড্ডা দিয়েছিলেন আনন্দর সঙ্গে। বলেছিলেন ভারতের কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল জি–বাংলার সংগীতবিষয়ক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সারেগামাপায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা। তাঁদের সঙ্গে আড্ডায় বসেছিলেন হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক

যেটা পর্দায় দেখানো হয়, সেটা তো দুই বাংলার দর্শক দেখেনই। অবন্তী-নোবেলকে বলি, পর্দার পেছনে যা হয়, তা নিয়ে কিছু বলুন। স্বভাবতই নোবেল স্বল্পভাষী। কথা শুরু করেন অবন্তী। বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন একটাই কাজ। গানের চর্চা করা।’

নোবেল জানান, চর্চা শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। নাশতা সেরে ৮টার মধ্যে গানের মহড়ার নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যেতে হয়। সেটা অবশ্য খুব বেশি দূরে নয়।

এবার অবন্তী কথা কেড়ে নেন, ‘কোনো কোনো দিন সকাল ৬টাতেও যেতে হয়। যখন যেভাবে বলা হয় সেভাবেই আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হয় এবং বের হতে হয়। সেখানে তিনজন প্রশিক্ষক থাকেন। তাঁরা গান শুনে ঠিক করে দেন, কোনটা কোন এপিসোডে গাইব।’

এসবই চলে রাত ৯-১০টা অবধি। তারপর ফিরে বিশ্রাম। অবন্তীর কাছে জানতে চাই, প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন শেখার জন্য সারেগামাপাতে গিয়েছিলেন। কী শিখলেন? দুজনই জানালেন, ‘ভয়েস লেসন বলে যে কিছু আছে, সেটা জানলাম আমরা।’ প্রশ্ন করি, ভয়েস লেসনটা কী? অবন্তী বলেন, ‘ধরেন, আমি গান গাইতে গেলে কোনো কথা বা শব্দ হয়তো নাকে চলে আসে, সেটা হয়তো আমি নিজেও জানি না। আমাদের অভ্যাস হলো মুখ কম খুলে গাওয়ার চেষ্টা করি। এ কারণে সমস্যা হয়। এটা আমি ওখানে গিয়ে জেনেছি।’ জানালেন, ‘ওরা শিল্পী তৈরি করে না, পারফরমার তৈরি করে। এটাই হওয়ার চেষ্টা করছি।’

কষ্টের চেয়ে আনন্দ বেশি

‘খাওয়ার কষ্টটাই বড় কষ্ট।’ সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বললেন দুজনই। সকালে লাল আটার রুটি খাওয়া একটা কষ্ট। এ ছাড়া সব খাবারে আলু ব্যবহারে খাওয়াটা আরেকটা কষ্ট। তবে এসব কোনো কষ্টই মনে হয় না যখন গান শুনে গ্রুমার বা বিচারকেরা গানটার প্রশংসা করেন। একবারও ভাবেন না, গতকাল খেতে কষ্ট হয়েছে তাঁদের। সিঁথি বললেন, ‘বাংলাদেশের গান সম্পর্কে সারেগামাপা–র গ্রুমার, সংগীত পরিচালকসহ সবার পরিষ্কার ধারণা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের গান নিয়মিত শোনেন।’

অবন্তী যোগ করেন, ‘গ্রুমাররা যখন আমার গান শোনেন, তখন আমার ওস্তাদ সুশান্ত দেব কানুর কথা মনে হয়। ভাবি, যা কিছু জানি সেটা নিছকই খারাপ না। কাজে লাগছে।’

কথা শেষ করতে হয়। সারেগামাপা থেকে ফিরে কী করবেন? একবাক্যে দুজন বলেন, ‘অবশ্যই গান।’