নতুন মাধ্যম নিয়ে আড্ডায় তাঁরা

অভিনেত্রী মিশৌরী, সংগীতশিল্পী তাহসান, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, নুহাশ হুমায়ূন ও প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। ছবি: খালেদ সরকার
অভিনেত্রী মিশৌরী, সংগীতশিল্পী তাহসান, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, নুহাশ হুমায়ূন ও প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। ছবি: খালেদ সরকার

গতকাল রোববার বিকেলে হঠাৎ প্রথম আলো কার্যালয়ে অতিথি হয়ে এলেন একঝাঁক চেনা মুখ। ছিলেন পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম, নুহাশ হুমায়ূন, অভিনয়শিল্পী তাহসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মিশৌরী ও প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। বসলেন আড্ডায়। আড্ডায় উঠে এল বর্তমানের আধুনিক প্রচারমাধ্যম নিয়ে কথা, এই মাধ্যমের নানান কনটেন্টের কথা।

গতকাল এই আড্ডার কারণ ছিল বায়োস্কোপ অরিজিনালের জন্য তৈরি চারটি নতুন ওয়েব ফিল্মের মুক্তি। নতুন ছবিগুলোর নাম নিঃশ্বাস, পিত্জা ভাই, রূপকথা ও প্রীতি। এর মধ্যে ১৭ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে নিঃশ্বাস ও ২৪ নভেম্বর পিত্জা ভাই। আগামী ৬ ডিসেম্বর রূপকথা এবং ১৩ ডিসেম্বর প্রীতি মুক্তি পাবে।

গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালনা করেছেন প্রীতি। সিনেমা বা নাটকে নিয়মিত হলেও ওয়েব ফিল্মে এবারই প্রথম কাজ করলেন তিনি। বড় ও ছোট পর্দা ছেড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আমি একজন পরিচালক। ভালো বাজেট পেলে সব মাধ্যমেই কাজ করতে চাই। আগামী দিনগুলো ওয়েব ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজেরই দিন। সময়ের সঙ্গে থাকতে চাইছি।’

পিত্জা ভাই নির্মাণ করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। তাঁর মতে, আমাদের এখানে এই মাধ্যমে এখনো বড় পরিসরে কাজ শুরু হয়নি। এই মাধ্যমে কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বও আছে। তবে তাঁর কাছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করা বেশ মজার। নুহাশ বলেন, ‘আমি এখানে কাজ করতে বেশ মজা পাই। কোনো তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী ব্যাপার না, ওয়েব সিরিজ বা ওয়েব ফিল্মে দর্শক ধরে রাখতে হলে অবশ্যই গল্প ভালো হতে হবে।’

অভিনেত্রী তিশা মনে করেন, এখানকার ওয়েব কনটেন্টগুলো শক্তিশালী। এখানে সিনেমা বা টেলিভিশনের মতো কোনো সেন্সরশিপ নেই। যেকোনো মানুষ যেকোনো জায়গায় বসে মোবাইল ফোনে কাজ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন সহজেই।

সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান বলেন, ‘এখন সবাই অনলাইনে ওয়েব কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত। তাই দেশীয় প্রযোজনায় এ ধরনের বেশি বেশি কনটেন্ট থাকতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে বিদেশি কনটেন্টে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেলে একটা সময় আমাদেরটা আর দেখবেন না।’

কিন্তু আমাদের দেশের সব মানুষের কাছে এই ওয়েব কনটেন্ট সহজে পৌঁছাচ্ছে তো? এমন শঙ্কা প্রকাশ করলে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘অবশ্যই পৌঁচ্ছাচ্ছে। এখন গ্রামেও মানুষ ফোনে নাটক–সিনেমা–গান দেখেন। শুধু বাংলাদেশেই না, এখন তো পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসেই বাংলাদেশি দর্শক অনলাইনে খুঁজে নেন বিনোদনের জন্য ওয়েব কনটেন্ট।’

এই চারটি ওয়েব ফিল্মের প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘ওয়েব ফিল্ম বানানোয় আগ্রহী হওয়ার কারণ হলো, প্রথমত একটা স্বাধীনতা আছে কাজের। দ্বিতীয়ত, গল্পটাকে নিজের মতো করে সুবিধাজনকভাবে সাজানো যায়। তৃতীয়ত, এখনকার সময়ের পরিচালক ও শিল্পীদের ওয়েব কনটেন্টের প্রতি যে ঝোঁক বেড়েছে, এর ফলে অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজ করা যায়।’ তাই এই প্রযোজক ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান আর নতুন মাধ্যমে দর্শকদের জুড়তে চান।