মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নভঙ্গ নিয়ে...

জাহানারা ইমাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও হাসান আরিফ
জাহানারা ইমাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও হাসান আরিফ

অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের সেই আশা কি পূরণ হয়েছে? মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন তাঁদের স্বপ্ন ভেঙেছে। স্বপ্নভাঙা মুক্তিযোদ্ধারা সেসব লিখে রেখেছেন তাঁদের আত্মজীবনীতে। মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও শহীদ জননী জাহানারা ইমামের যুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তী সেসব কাহিনির ওপর ভিত্তি করে একটি আবৃত্তি প্রযোজনা নিয়ে আসছে স্বরব্যঞ্জন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটারে মঞ্চস্থ হবে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘ঘুম নেই অতঃপর’। এর নির্দেশনা দিচ্ছেন বাচিকশিল্পী হাসান আরিফ। আগামী শুক্রবার বিকেল ৪টা ও পরদিন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুদিন প্রযোজনাটি মঞ্চস্থ হবে। মঞ্চায়নের অংশ হিসেবে এর শেষ দিকে প্রযোজনায় সরাসরি যুক্ত হবেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রথম দিন থাকবেন ক্র্যাক প্লাটুনের যোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ এবং পরদিন কথা বলবেন হাবিবুল আলম। এ মঞ্চায়নে আবৃত্তি করবেন মোট আটজন আবৃত্তিকার।

হাসান আরিফ জানান, গত শতকের নব্বইয়ের দশকে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফের বই ‘ঘুম নেই’। এ বইতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক নানা ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন। এ বইয়ের নানা ঘটনাসহ তাঁদের আবৃত্তি প্রযোজনায় যুক্ত হবে জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ও তাঁর অন্যান্য প্রকাশনার নানা ঘটনা। সেগুলোর মধ্য দিয়ে এ আবৃত্তি প্রযোজনায় উঠে আসবে মুক্তিযুদ্ধ ও এর পরের হতাশা, সন্তান হারানো মায়ের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াসসহ নানা ঘটনা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও পরে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নভঙ্গের নানা বিষয়ের সঙ্গে এখনকার সময়কে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এই প্রযোজনায়।

‘ঘুম নেই অতঃপর’ প্রযোজনার নির্দেশক হাসান আরিফ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক।