ইঙ্গমার বার্গম্যানের পাঁচ

ইঙ্গমার বার্গম্যান
ইঙ্গমার বার্গম্যান

বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম ১৯১৮ সালের ১৪ জুলাই। সুইডেনের নাগরিক তিনি। মারা যান ২০০৭ সালের ৩০ জুলাই।

 চলচ্চিত্র ও মঞ্চে একই নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করে গেছেন তিনি। তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে, কোন মাধ্যম আপনার বেশি পছন্দের? তিনি বলতেন, সিনেমা আমার স্ত্রী আর থিয়েটার উপপত্নী।
 মানুষই বার্গম্যানের ছবির প্রধান ভাবনা। মানুষের অস্তিত্বকে পরতের পর পরত ছাড়িয়ে আসল মানুষটাকে বের করার কাজটাই করেছেন তাঁর চলচ্চিত্রে।
 তারকোভ্স্কির সম্পর্কে একটি অসাধারণ কথা বলেছিলেন বার্গম্যান। তারকোভ্স্কির ছবি দেখে বলেছিলেন, ‘যে ঘরটার চাবি আমি কোনো দিন খুঁজে পাইনি, হাতড়ে বেড়িয়েছি, দেখলাম তারকোভ্স্কি সেই ঘরেই পায়চারি করছেন।’
 অভিনয়শিল্পীদের খুব গুরুত্ব দিতেন বার্গম্যান। ছবি নির্মাণের আগে ছবিতে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের সবাইকে চিঠি দিতেন। সে চিঠিতে লেখা থাকত, কেন এই নির্দিষ্ট মানুষটাকেই ছবিতে চাইছেন তিনি। শিল্পীর কাছে তাঁর প্রত্যাশা কী, তাও লিখে জানাতেন। মহড়ার বিকল্প নেই—বিশ্বাস করতেন বার্গম্যান। ছবি যে সবাই মিলে এক হলেই নির্মাণ করা সম্ভব, সেটা বিশ্বাস করতেন তিনি।
 বার্গম্যান নির্মিত ছবিগুলোর মধ্যে দ্য সেভেন্থ সিল (১৯৫৭), ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিস (১৯৫৭), থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি (১৯৬১), উইন্টার লাইট (১৯৬১), দ্য সাইলেন্স (১৯৬৩), পারসোনা (১৯৬৬), ক্রাইস অ্যান্ড হুইস্পারস (১৯৭২)।