স্কুলে চুরি করেছিলেন চুমকি!

‘পাঠশালা’ ছবির একটি দৃশ্যে হাবিব আরিন্দা ও ইমা আক্তার
‘পাঠশালা’ ছবির একটি দৃশ্যে হাবিব আরিন্দা ও ইমা আক্তার

তাজউদ্দীন সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ক্লাস ফোরে পড়ে চুমকি। বাবা ওই স্কুলেরই দপ্তরি। মেয়ে স্কুলের বই–খাতা চুরি করায় বাবাকে বকাঝকা করেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা লতিফা ইসলাম। সে জন্য মেয়েকে থাপ্পড় মারেন বাবা। কিন্তু মেয়ের চুরির উদ্দেশ্য জানার পর বাবাও তাঁকে সাহায্য করতে শুরু করলেন।

চুমকি বই-খাতা চুরি করেছিল গাড়ির গ্যারেজে কাজ করা মানিকের জন্য। লেখাপড়ার প্রতি তীব্র আগ্রহ তার। ষষ্ঠ শ্রেণির পাট না চুকাতেই জীবিকার তাগিদে স্কুল ছেড়ে গাড়ির গ্যারেজে কাজ নিতে হয়েছিল তাকে। মানিকের পুনরায় স্কুলে ভর্তির কাহিনি নিয়ে ‘পাঠশালা’ চলচ্চিত্রের গল্প। এমন শিশুতোষ ছবি তৈরির জন্য নির্মাতাদের নিতে হয়েছে বাণিজ্যিক ছবির প্রস্তুতি।

ইতিবাচক গল্পের এ ছবি মুক্তি পায় গত শুক্রবার রাজধানীর দুটি মাল্টিপ্লেক্সে—বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লক বাস্টার সিনেমাসে। গতকাল বুধবার দুপুরে স্টার সিনেপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অল্প কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মায়েরা মিলে ছবিটি দেখতে এসেছেন। পরিচালক আসিফ ইসলাম জানান, এই ছবিটি যাদের জন্য নির্মিত হয়েছে, তাদের এখন পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ করেই তারা প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটা দেখবে। শুধু তা–ই নয়, আশা করা যাচ্ছে অন্য দর্শকেরাও পর্যায়ক্রমে ছবিটি দেখবেন।

‘পাঠশালা’র গল্প শিশুতোষ হলেও এর নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ছবির। ছবির চিত্রগ্রহণ, শব্দ, সম্পাদনা ও ধারাবাহিকতা চমৎকার। এমন প্রস্তুতি নেওয়া দুই তরুণ পরিচালক বাণিজ্যিক ছবি না বানিয়ে কেন শিশুতোষ ছবি বানালেন? জানতে চাইলে আরেক পরিচালক ফয়সাল রদ্দি বলেন, ‘আমরা একটা চলচ্চিত্র বানাতে চেয়েছিলাম। সেটা শিশুতোষ হবে নাকি মূলধারার চলচ্চিত্র হবে, সেটা ভাবিনি। গল্পটা আমাদের ভালো লেগেছিল। আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল একে বড় পর্দার উপযোগী করে উপস্থাপন করা। আমাদের বিশ্বাস, সেটা পেরেছি, অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েকে নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটা দেখলেই সেটা বুঝতে পারবেন।’