কলকাতায় 'সখ্যের অলিন্দে' বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ চিত্র প্রদর্শনী

কলকাতায় যৌথ চিত্র প্রদর্শনীতে চিত্রকর্ম দেখছেন অতিথিরা । ছবি: প্রথম আলো
কলকাতায় যৌথ চিত্র প্রদর্শনীতে চিত্রকর্ম দেখছেন অতিথিরা । ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীদের পাঁচ দিনব্যাপী ‘সখ্যের অলিন্দে’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে কলকাতায়। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটায় যৌথভাবে এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন দুই খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী বাংলাদেশের কাইয়ুম চৌধুরী ও ভারতের যোগেন চৌধুরী।
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এবং ভারতের আইসিসিআর যৌথভাবে এ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। কলকাতার আইসিসিআর ভবনের বেঙ্গল গ্যালারিতে আয়োজিত প্রদর্শনী চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ছয়জন শিল্পীর ১২টি ও ভারতের ১২ জন শিল্পীর ১৮টি—মোট ৩৬টি ছবি রয়েছে।
বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন কাইয়ুম চৌধুরী, রফিকুন নবী, তাহেরা খানম, মনিরুল ইসলাম, কালিদাস কর্মকার ও ফরিদা জামান। ভারতের শিল্পীরা হলেন সনত্ কর, ধীরাজ চৌধুরী, সুনীল দাস, অমিতাভ সেনগুপ্ত, শেখর রায়, সুখময় মজুমদার, চন্দনা হোড়, কুণাল দত্ত, দেবাশিস দাস, ইলিনা বণিক, পার্থপ্রতীম মণ্ডল ও সুমনা ঘোষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন কাইয়ুম চৌধুরী, যোগেন চৌধুরী, ঢাকার বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক সুবীর চৌধুরী, আইসিসিআরের আঞ্চলিক অধিকর্তা রাজর্ষি বেহেড়া প্রমুখ।
কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সংস্কৃতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। যোগেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের কাছের দেশ, বন্ধু দেশ। এই প্রদর্শনী সেই বন্ধুত্বের হাতকে আরও প্রসারিত করবে।’
নুহাশপল্লী এবং একজন হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ‘নুহাশপল্লী’ নামটির সঙ্গে উচ্চারিত হয় জনপ্রিয় লেখক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের নাম। হুমায়ূন আহমেদ ও তাঁর হাতে গড়া নুহাশপল্লীকে এক মলাটের মধ্যে বিবৃত করেছেন লেখক আখতারুজ্জামান চৌধুরী।

নুহাশপল্লী এবং একজন হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ । প্রথম আলো
নুহাশপল্লী এবং একজন হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ । প্রথম আলো

গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্লবীতে হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবীবের বাসায় নুহাশপল্লী এবং একজন হুমায়ূন আহমেদ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মা আয়েশা ফয়েজ। অসুস্থতার কারণে কোনো কথা বলতে পারলেন না তিনি। তবে তাঁর চোখের সজলতায় বিনা বাক্যে কৃতজ্ঞতা জানালেন লেখককে।
গবেষণাধর্মী এ বই লেখার জন্য লেখক আখতারুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বোন সুফিয়া হায়দার শেফু বলেন, এই বইতে দাদার জন্মের কাহিনিও জানতে পারবে পাঠক।
আরেক বোন মমতাজ শহীদ শিখু জানান, অতি যত্নে রাখা একটি কার্ড তিনি আখতারুজ্জামানকে দিয়েছেন। তাঁর মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে হুমায়ূন আহমেদ কার্ডটি আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছিলেন।
স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন জানালেন, হুমায়ূন আহমেদ ব্যবহার করতেন এমন নানা জিনিসের ছবি ও তথ্য দিয়ে লেখককে সাহায্য করেছেন তিনি।
লেখক আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি হুমায়ূন আহমেদের একটি ইচ্ছা পূরণ করেছেন মাত্র। নুহাশপল্লীর ভেষজ ও দুর্লভ গাছ নিয়ে গবেষকেরা কাজ করবেন এটা ছিল প্রয়াত হুমায়ূন স্যারের ইচ্ছা। তাই অর্ধশতাধিক গাছের বিষয়ে গবেষণালব্ধ তথ্যও এই বইয়ে রেখেছেন তিনি।
ঢাকায় আমেরিকান লোকসংগীতসন্ধ্যা
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত ‘বিদেশে আমেরিকান সংগীত’ শীর্ষক সংগীতসন্ধ্যায় আমেরিকান লোকসংগীতে মুগ্ধ হলেন উপস্থিত শ্রোতারা। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ‘জলের গান’।
দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির আওতায় ‘লরা করটেজ অ্যান্ড দ্য ডান্স কার্ডস’ সংগীত দল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সফর করেছে।
মার্কিন লোকসংগীতের সুরমূর্ছনা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে গত জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন দেশ সফর করছে এই দল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের ব্যান্ড ‘জলের গান’ পরিবেশন করে বাংলাদেশের নদী, বাতাস, মাটি নিয়ে লোকসংগীত। এ ছাড়া জলের গানের শিল্পীরা পরিবেশন করেন তাঁদের অন্যান্য জনপ্রিয় গান।
টানা দুই ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘লরা করটেজ অ্যান্ড দ্য ডান্স কার্ডস’ পরিবেশন করে আমেরিকান লোকসংগীত। এই সংগীত দল নারীদের নিয়ে গঠিত।