গান দিয়ে বাংলাদেশ অস্কার জিতবে: তাপস

>গানের চ্যানেল গানবাংলা ষষ্ঠ বছরে পা রেখেছে। এ উপলক্ষে গতকাল চ্যানেলটির বারিধারার প্রগতি সরণির কার্যালয়ে গান, অভিনয় ও চলচ্চিত্রজগতের মানুষদের নিয়ে কেক কাটা হয়। তার আগে চ্যানেলটির আগামী দিনের পরিকল্পনা আর অন্যান্য প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গায়ক ও সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
কৌশিক হোসেন তাপস
কৌশিক হোসেন তাপস

কোন স্বপ্ন নিয়ে গানবাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু করেছিলেন? 
বাংলা গান বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, এটাই ছিল লক্ষ্য। যদিও অনেকে মনে করছেন, ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ দিয়ে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমি বলব, এখনো আমরা শিশু। নতুন বছরে নতুনভাবে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা আছে। পৃথিবীতে আগামী সময়ে গানের অবস্থান যেখানে থাকবে, গানবাংলার অবস্থান হতে হবে বাংলাদেশের পতাকা ধরে সবকিছুর ওপরে। সেখানে অন্যরা এগিয়ে গেলে সমস্যা নেই। কিন্তু পতাকা ধরে এগিয়ে যেতে হবে।

উইন্ড অব চেঞ্জ—এমন অনুষ্ঠানের ভাবনা কেন ভেবেছিলেন? 
আমরা আগে শুধু আন্তর্জাতিক শিল্পীদের পরিবেশনা দেখার সুযোগ পেয়েছি। এক মঞ্চে কাজ করিনি। আমার চিন্তা ছিল, যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে আন্তর্জাতিক মানের কলাকুশলী ও বাংলাদেশের শিল্পীদের একসঙ্গে নিয়ে কাজ করব। এত দিন যা করেছি তা শিশু পর্যায়ের। এখন সময় এসেছে, পেশাদার পর্যায়ে যাওয়ার। একদিন আমরা গ্র্যামিতে যাব। গান দিয়ে বাংলাদেশ অস্কার জিতবে। বাংলাদেশ সংগীত দিয়ে একদিন বিশ্বজয় করবে।

উইন্ড অব চেঞ্জ অনুষ্ঠানে পুরোনো গানেরই নতুন সংগীতায়োজন হয়েছে। নতুন গান সেভাবে নেই কেন? 
এটা ঠিক। তবে আমরা এই প্ল্যাটফর্মে নিজেদের প্রযোজনায় দুটি নতুন গান মুক্তি দিয়েছি। একটি আমার, অন্যটি বালামের। এটাকে ট্রেন্ডে পরিণত করতে হবে। সামনে আরও একটি নতুন প্রকল্প শুরু করব।

আপনার কাজে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা কে? 
অনুপ্রেরণা বলেন আর আমার মেরুদণ্ড—তিনি আমার স্ত্রী ফারজানা মুন্নী। তিনি গানবাংলা চ্যানেলের চেয়ারম্যানও। আমার ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ অনুষ্ঠান যদি সফল হয়ে থাকে, সেটার অডিওর দায়িত্ব ছিল আমার, আর ভিজ্যুয়ালের দায়িত্ব ছিল তাঁর। আর তিনি আমাকে এতটাই উৎসাহ দিয়েছেন, এখন যেকোনো বড় কিছু করতে ভয় পাই না।

শেষ তিন প্রশ্ন

শেষ কোন গান শুনে আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে?
মান্নান মোহাম্মদের ‘বেইমান পাখি’ গানটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।

কোন গানটি সংগীতশিল্পী হিসেবে আপনাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে?
‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’।

এমন একটা স্বপ্ন দেখেন...
আমি মিউজিক্যাল একটা স্টেডিয়াম করতে চাই। যেটা সব দিক থেকে সবচেয়ে আধুনিক হবে। বৃষ্টি পড়লে দেখব, কিন্তু মাঠের ভেতরে বৃষ্টি পড়বে না। সেখানে কখনো খেলাধুলা বা অন্য কার্যক্রম থাকবে না। সাউন্ড–লাইট কিছুই খুঁজতে হবে না, শিল্পীরা শুধু প্রোডাকশনটা নিয়েই ভাববেন। দেখলেই যেকোনো দেশের বড় মাপের শিল্পী মনে করবেন, আমি একবার এই প্ল্যাটফর্মে গাইতে চাই।