ছায়ানটে কত্থক নৃত্য উৎসব

রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ‘কত্থক নৃত্য উৎসব’
রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ‘কত্থক নৃত্য উৎসব’

শাস্ত্রীয় নৃত্যের যতগুলো জনপ্রিয় ধারা আছে, তার মধ্যে অন্যতম কত্থক নৃত্য। নাচের মুদ্রার সঙ্গে শিল্পী অভিব্যক্তি—গল্প বলার ছলে উপস্থাপিত ভারতীয় এ নৃত্যধারার নিরলস চর্চা করছেন অনেকেই। এ নৃত্যের অনুরাগীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। সেই প্রেক্ষাপটে এ নৃত্যের সাধনায় সম্পৃক্ত শিল্পীদের শৈল্পিক রূপ-মাধুর্য মেলে ধরা এবং তাঁদের উৎসাহিত করতে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ‘কত্থক নৃত্য উৎসব’। সপ্তমবারের মতো এ উৎসব আয়োজন করেছে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়।

রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বরেণ্য নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান। উৎসবে ‘নৃত্যগুরু জীনাত জাহান স্মৃতি সম্মাননা পদক’ দেওয়া হয় নৃত্যগুরু বেলায়েত হোসেন খানকে। তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন লায়লা হাসান, উত্তরীয় জড়িয়ে দেন নৃত্যশিল্পী মিনু হক।

বেলায়েত হোসেন খান বলেন, ‘এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। কখনো নৃত্যের জন্য সম্মাননা পাব, ভাবিনি। এটা পেয়ে খুব ভালো লাগছে, যা আমাকে সামনে পথ চলতে অনুপ্রেরণা দেবে।’

আলোচনায় অংশ নেন লায়লা হাসান, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, নৃত্যালোকের পরিচালক কবিরুল ইসলাম, নৃত্যশিল্পী দীপা খন্দকার ও বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ।

পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নৃত্য অবলম্বনে সাজু আহমেদের নির্দেশনায় ‘গুরুবন্দনা’ দিয়ে শুরু হয় উৎসবের নৃত্য পরিবেশনা। এতে অংশ নেন সাজু আহমেদ, সুপর্ণা, প্রিয়াঙ্কা, মালিহা, পূর্ণ, প্রকৃতি ও মাহিয়া। সাজু আহমেদের নির্দেশনায় এরপরের পরিবেশনা ছিল ‘ছন্দ মালিকা’ ও ‘টুকরা মালিকা’। রংপুরের শিল্পী ইমামা পরিবেশন করেন ‘মেঘ বন্দনা’, মৌলভীবাজারের বিপ্লব দাসের নির্দেশনায় শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘নূপুর নিক্বণ’, দীপা সরকার পরিবেশন করে ‘সরগম’। এ ছাড়া শিল্পীরা পরিবেশন করে নৃত্য ‘অর্পিতা’, ছন্দমালা, শুভ্র ছন্দ, তারানা প্রভৃতি।

আজ উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। ‘জন্মশতবর্ষে বুলবুল চৌধুরী-জীবন ও সময়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শেখ মেহেদী হাসান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রয়েছে নৃত্যানুষ্ঠান। আলোচনায় অংশ নেবেন গোলাম মোস্তফা খান, নীলুফার ওয়াহিদ। আছে মৌলভীবাজার, পাবনা, নোয়াখালী, দিনাজপুরের শিল্পীদের পরিবেশনা।