২০১৮ ভালো ছিল, ২০১৯ বেছে কাজ করব: মনোজ

২০১৮ পেরিয়ে ২০১৯–এ এসে পৌঁছেছি আমরা। বছরের প্রথম ‘আনন্দ’-এ ২০১৮ সালের ব্যস্ত দুই তারকার কাছ থেকে তাঁদের বিগত দিনের অর্জন ও আগামী পরিকল্পনার কথা জেনেছি। জয়া আহসান ও মনোজ প্রামাণিক—দুজনই গত বছর ব্যস্ত ছিলেন খুব, এ বছরও থাকবেন। তাঁরা আলোচনায় ছিলেন নানা কারণে। বছরের আলোচিত এই দুই তারকাকে নিয়ে আমাদের এই আয়োজন—
মনোজ প্রমাণিক ছবি: প্রথম আলো
মনোজ প্রমাণিক ছবি: প্রথম আলো


ফুল ফোটানোর খেলা ও কথা হবে তো? নাটক দিয়ে পরিচিত মুখ মনোজ প্রামাণিক। দিব্যি অভিনয় করে যাচ্ছেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন তো আছেই। গত বছরের কাজের খতিয়ান হিসাব করে যে কথাটি মনোজ প্রামাণিকের মুখ থেকে বের হলো, সেটি হলো—বেশ ভালো কেটেছে বছরটি। কেন?

কারণ খুঁজতে চোখ ফেরানো যাক তাঁর কাজের দিকে। এই বছরেই বেশ কিছু ভালো কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি। একক নাটক তো করছেনই হরদম। সঙ্গে ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অমিতাভ রেজাদের মতো নির্মাতাদের পরিচালনায় অভিনয়। মিষ্টি প্রেমের গল্প থেকে একেবারে সিরিয়াস চরিত্র—সবকিছুতেই মনোজ ছিলেন স্বাভাবিক। মনোজের বছরটিকে তাই ভালো না বলে উপায় নেই। মনোজের ভাষ্য, ‘২০১৮ বছরটি শুরু করেছিলাম মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা শনিবার বিকেল–এর শুটিং দিয়ে। এরপর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’ প্রকল্পের নাটক। এর মধ্যে ছিল শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত শহরের নতুন গান নাটকটি। ওই সময় মঞ্চেও একটি কাজ করেছিলাম নিখোঁজ সংবাদ নামে। ওটাও আমার জন্য একটা মাইলফলক ছিল। গত বছর সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এক পর্বের নাটক করি। এ ছাড়া বিয়ের দাওয়াত রইল টেলিছবিটিও উল্লেখ করার মতো। এটি পরিচালনা করেছিলেন রেদওয়ান রনি। বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপন এ বছর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে আমার ক্যারিয়ারে। আরেকটি সিনেমাও করেছি এ বছর—ইতি তোমারই ঢাকা। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে অমনিবাস চলচ্চিত্র এটি।’

মনোজ জানান, আরও একটি সিনেমার কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এখনই সে বিষয়ে বলতে মানা আছে। সময় এলেই বলবেন। তবে এ বছরটি কিন্তু টেলিভিশনের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমেও বেশ কাজ করেছেন তিনি। বছরটি অনলাইনে কেমন গেছে মনোজের? উত্তর ছিল, ‘গত বছরে অনলাইনে বেশ কিছু কাজ করেছি। আইফ্লিক্সের পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। বায়োস্কোপ লাইভের একটা ওয়েব ফিল্ম করেছি। ইউটিউবের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে করেছি। এখানে যেটা হয় যে ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা যায়। অনলাইনের কাজগুলো ভালো ছিল। এই প্ল্যাটফর্ম মানুষের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। মানুষের কাছে যাচ্ছে। এটাকে আমার কাছে মনে হয় সম্ভাবনাময় একটি দিক। আমি এখানে আরও কাজ করতে চাই।’

গত বছরের অভিজ্ঞতায় নতুন বছরে কী উন্নতি করতে চান তিনি? মনোজ বলেন, ‘আসলে খুব তাড়াতাড়ি করে নাটকে কাজ করতে হয়। প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় লাগে। আরও সময় নিয়ে যদি কাজ করা যেত তাহলে আরও ভালো করতে পারতাম। তা ছাড়া তাড়াহুড়োর কারণে স্ক্রিপ্ট অনেক দুর্বল হয়। এ ক্ষেত্রে যদি যত্ন নেওয়া হয় তাহলে আরও ভালো কাজ হবে।’

সবিকছু মিলে এই ছিল মনোজের গত বছরের সালতামামি। এককথায় বছরটিকে মনোজ বললেন, ‘ভালো ছিল।’ টেলিভিশন, অনলাইন, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র—সব জায়গায় বছরজুড়ে কাজ করছেন মনোজ। আগামী বছর নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা কী? মনোজ বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে ওই রকম পরিকল্পনা করতে পারছি না। আমি যেটা করতে চাই যে আরেকটু বেছে বেছে কাজ করব। বেশি বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই।’