জুলিয়া রবার্টসের অজানা ১০

জুলি রবার্টস
জুলি রবার্টস
হলিউডের ‘প্রিটি ওম্যান’ তিনি। সবে পা দিয়েছেন ৫২ বছরে। কিন্তু তাঁকে দেখে তা বোঝার সাধ্য কী! ঠিকই ধরেছেন, জুলিয়া রবার্টসের কথাই বলছি। তাঁর জীবনের মজার ১০টি তথ্য এবার জেনে নেওয়া যাক।


১.
এই হলিউড অভিনেত্রীর আসল নাম কিন্তু জুলিয়া নয়, জুলি রবার্টস। যখন আমেরিকার অভিনয়শিল্পীদের সংস্থায় নাম লেখাতে গিয়েছিলেন, তখন দেখা গেল জুলি রবার্টস নামে একজন অভিনয়শিল্পী আগে থেকেই আছেন তালিকায়। তাই সহজ পথটাই বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের নাম একটুখানি বদলে রাখতে হয়েছে জুলিয়া।

২. মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসের শরীরে আছে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের রক্ত। পরিবারের মধ্যে জুলিয়ার বড় ভাই এরিক আন্থনি রবার্টস আর বড় বোন লিসা রবার্টসও অভিনয়শিল্পী হয়েছেন।

৩. ছোটবেলায় জুলিয়ার স্বপ্ন ছিল পশুচিকিৎসক হওয়ার।

৪. মাত্র ১৩ বছর বয়সেই জুলিয়া রবার্টস প্রথম কাজে যোগ দেন। ছোট্ট একটি পিৎজার দোকানে ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করেছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে তিনি নিউইয়র্কে চলে আসেন। সেখানে তিনি বেঁচে থাকার জন্য কাজ করার পাশাপাশি অভিনয়বিদ্যার ওপর পড়াশোনা করেন।

৫. মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে স্টিল ম্যাগনোলিয়াস ছবিতে জুলিয়া রবার্টস প্রথমবারের মতো অস্কারে মনোনয়ন পান। পরে ২০০০ সালে এরিন ব্রোকোভিচ ছবিতে অভিনয় করে তিনি অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব দুটো পুরস্কারই পান।

৬. মোনালিসা স্মাইল ছবিতে অভিনয় করার জন্য তিনি পেয়েছিলেন ২৫ মিলিয়ন ডলার। হলিউডে তখন পর্যন্ত কেউ এত বেশি সম্মানী পাননি।

৭. মেকআপ নেওয়ার পর অন্য সবার মতো বসে থাকেন না তিনি। সটান শুয়ে পড়েন। তিনি বিশ্বাস করেন, এতে তাঁর কাজ সবচেয়ে ভালো হয়।

৮. জনপ্রিয় ম্যাগাজিন পিপল ১২ বার জুলিয়া রবার্টসকে এই গ্রহের সেরা সুন্দরীর অভিধা দিয়েছে।

৯. জুলিয়া রবার্টস কিন্তু বাঁহাতি। হলিউডে কিন্তু বাঁহাতি শিল্পীর সংখ্যা কম নয়। যেমন টম ক্রুজ, কিয়ানু রিভসও বাঁহাতি।

১০. অনেক দিন পর্যন্ত তাঁর বদভ্যাস ছিল দাঁতে নখ কাটার। অনেকেরই থাকে। তবে তিনি দাঁত দিয়ে হাতের নখ কাটতেন না। কাটতেন পায়ের নখ। শরীর কতটা বাঁকা করে কাজটা করতে হতো, ভেবে দেখুন।