জেফ ব্রিজেসের অজানা ১০

সেসিল বি ডিমিল অ্যাওয়ার্ড হাতে জেফ ব্রিজেস। ছবি: এএফপি
সেসিল বি ডিমিল অ্যাওয়ার্ড হাতে জেফ ব্রিজেস। ছবি: এএফপি

সদ্যই গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডে ‘সেসিল বি ডিমিল সম্মাননা’ জিতেছেন হলিউড তারকা জেফ ব্রিজেস। এই পুরস্কার আসরের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার। তাঁর এই সম্মাননা অর্জনকে ভক্তরা যথাযথই মনে করছেন। কেন নয়? উনসত্তর বছরের জেফ যে একাধারে অভিনেতা, গায়ক এবং প্রযোজকও। সেই কিং কং (১৯৭৬) থেকে শুরু করে আয়রনম্যান কিংবা হালের কিংসম্যান: দ্য গোল্ডেন সার্কেল-এর মতো ব্যবসাসফল ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর সম্পর্কে আরও ১০টি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

১. এ পর্যন্ত যত ছবিতে অভিনয় করেছেন এর মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় আমেরিকান হার্ট ও ফিয়ারলেস।

 ২. যখন অভিনয় করেন না, তখন ফটোগ্রাফি করেন। এমনকি শুটিং বিরতিতেও আশপাশে যা কিছু আছে সেগুলোর ছবি তুলতে থাকেন।

 ৩. বাবা লয়েড ব্রিজেস ও মা ডরোথি ব্রিজেস দুইজনই অভিনয়শিল্পী ছিলেন। তাই পরিবার থেকেই অভিনয়ের পোকা তাঁকে পেয়ে বসে।

 ৪. তাঁর বয়স যখন প্রায় দুই বছর, তখন প্রথম বড় পর্দায় আসেন। সেটা ১৯৫১ সালের কথা। সে বছর অভিনয় করেছিলেন দ্য কোম্পানি শি কিপস ছবিতে।

 ৫. পুরোদস্তুর অভিনয়ে আসার আগে কোস্টগার্ড হিসেবে কাজ করতেন।

 ৬. গিটার বাজাতে খুব ভালোবাসেন জেফ। ২০১১ সালে অভিনয় থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে গানে মনোযোগ দিয়েছিলেন। নিজের নামে অ্যালবাম প্রকাশ করে কনসার্টও করে ফেলেন সেই বার।

 ৭. কোনো শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে না—এই লক্ষ্যে জেফ ব্রিজেস প্রতিষ্ঠা করেন ‘নো কিড হাংরি’ নামে একটি সংস্থা। এটার জাতীয় মুখপাত্র তিনি নিজেই।

 ৮. ১৯৯২ সালে প্রথমবারের মতো প্রযোজনায় আসেন আমেরিকান হার্ট ছবিটি দিয়ে। সেই ছবি পরে তাঁর চলচ্চিত্রজীবনের একটি মাইলফলক হয়ে থাকে।

 ৯. ২০০৮ সালে আয়রনম্যান ছবির প্রথম কিস্তিতে খলচরিত্রে অভিনয় করেন জেফ। ‘ওবায়েদ’ চরিত্রটাকে মনে আছে?

 ১০. অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন জেফ ব্রিজেস। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২২ বছর। মনোনয়ন পেয়েছিলেন দ্য লাস্ট পিকচার শোর জন্য। আবার যখন অস্কার পান, তখন তাঁর বয়স ৬০ বছর। অস্কার পাওয়া সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিও তিনি। ক্রেজি হার্ট ছবির জন্য ২০১০ সালে সেরা অভিনেতার অস্কার তো বটেই, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড আর গোল্ডেন গ্লোবটাও গেছে তাঁর ঝুলিতে।

 সূত্র: টেন ফ্যাক্টস অ্যাবাউট, জাস্ট ফান ফ্যাক্টস

গ্রন্থনা: সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন