সালমানের কথা না শোনার ফল!

ক্যাটরিনা কাইফের ক্যারিয়ারে যাঁর সবচেয়ে বড় অবদান, তিনি সালমান খান। বলা যায়, ভাইজানই এই বলিউড সুন্দরীর মেন্টর আর প্রিয় বন্ধু। কিন্তু মেন্টরের কথা না শুনে রীতিমতো পস্তাচ্ছেন ক্যাটরিনা। পর পর দুটো ছবি ফ্লপের ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে তাঁকে।

‘থাগস অব হিন্দোস্থান’ এবং ‘জিরো’—দুটোই বিগ বাজেটের ছবি। আর এই ছবি দুটোতে নামীদামি তারকারা আছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছবি দুটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। অমিতাভ বচ্চন ও আমির খান অভিনীত ‘থাগস অব হিন্দোস্থান’ ছবিটির রীতিমতো ভরাডুবি হয়। এদিকে ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত আর একটি ছবি ‘জিরো’ অত্যন্ত কম নম্বর পেয়েছে। শাহরুখ খান কিংবা ভিএফএক্স রক্ষা করতে পারেনি ছবিকে। এই ছবি দুটি করতে সালমান খান নাকি তাঁর বান্ধবী ক্যাটরিনাকে বারবার নিষেধ করেছিলেন। কারণ বলিউডের সুলতানের মনে হয়েছিল ‘থাগস অব হিন্দোস্থান’ ছবিতে ক্যাটরিনার চরিত্রটা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। আর এই দুটো ছবিতেই তাঁর চরিত্র খুব ছোট।

কিন্তু সালমানের কথা কানে তোলেননি ক্যাটরিনা। ভাইজান আগেই বুঝেছিলেন ছবি দুটি ক্যাটরিনার ক্যারিয়ারের জন্য তেমন লাভজনক হবে না। তবে শাহরুখের আগে সালমানের কাছে ‘জিরো’ ছবির প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সালমান ছবিটা শাহরুখকে করার কথা বলেন। আনন্দ এল রাই পরিচালিত এই ছবিতে ভাইজানকে ক্যামিও হিসেবে দেখা গেছে।

ক্যাটরিনা আর দ্বিতীয়বার ভুল করবেন বলে মনে হয় না। এবার থেকে তিনি মেন্টর অর্থাৎ সালমানের কথা শুনেই চলবেন। এই বলিউড সুন্দরীর ডুবন্ত ক্যারিয়ারকে একমাত্র সালমানই পারেন উদ্ধার করতে। শিগগিরই আলী আব্বাস জাফর পরিচালিত ‘ভারত’ ছবিতে এই জুটিকে দেখা যাবে। ক্যাটরিনার শেষ হিট ছবি ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সালমান। এই জুটি হয়তো আবার একটা হিট ছবি উপহার দেবে।