নকশীকাঁথার এক যুগ

এক যুগ পার করল গানের দল নকশীকাঁথা
এক যুগ পার করল গানের দল নকশীকাঁথা

এক যুগ পার করল বাংলা গানের দল নকশীকাঁথা। ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল তাদের যাত্রা। তারিখটা ২৫ জানুয়ারি। এরপর পেরিয়ে গেল ১২ বছর। এক যুগ পূর্তিতে নকশীকাঁথা দিল দারুণ সুখবর। পেশাদারি সংগীতচর্চার লক্ষ্যে তারা তৈরি করেছে ব্যাটলফিল্ড স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস। যন্ত্র ও কণ্ঠসহ নানা ধরনের সংগীত শেখানো হবে এখানে। স্কুলটির কাজ শুরু হবে আগামী মাসেই।
যুগপূর্তিতে কথা হলো নকশীকাঁথা গানের দলের প্রধান ও ভোকাল সাজেদ ফাতেমীর সঙ্গে। শোনালেন তাঁদের দলের যাত্রা শুরুর কথা। ফাতেমী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই গানের দিকে ঝোঁক আমার। সামাজিক সংকট তুলে নিয়ে আসি গানে গানে। তবে গানের সুরটা থাকে লোকজই। সেই ধরন আরও জোরদার করতে নকশীকাঁথা ব্যান্ড গঠন করি। ২০০৮ সালে আমাদের প্রথম অ্যালবাম বের হয় নজর রাখিস নামে। এরপর দীর্ঘ আট বছরের বিরতিতে ২০১৬ সালে বের হয় দ্বিতীয় গানের অ্যালবাম নকশীকাঁথার গান।’ ২০০৭ সালে ব্যান্ডের মাধ্যমে একত্রে কাজ শুরু করলেও ফাতেমী জানালেন, তাঁর গানের সঙ্গে পথচলা শুরু সেই শৈশবে। তবে শুধু গানই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা গাইতে চান শিকড়সন্ধানী গান। সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘আমরা শিকড় নিয়ে কাজ করছি। এতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই। বাংলাদেশের লোকসংগীত বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে সামান্য হলেও ভূমিকা রাখতে চাই। তাই নকশীকাঁথার মায়ায় এভাবে জড়িয়ে আছি।’
শিকড়ের গানকে তুলে আনতে এই দলে কাজ করছেন সাজেদ ফাতেমী দল প্রধান ও ভোকাল হিসেবে। জে আর সুমন আছেন অ্যাকুস্টিক গিটার, রবাব ও দোতারায়, কাহন ও পারকাশান্সে আছেন বুলবুল সাহা, ফয়সাল আদনান আছেন বেজ গিটারে এবং রোমেল হাসান আছেন মেলোডিকা ও অ্যাকোর্ডিয়ানের দায়িত্বে।