প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা জেল হেফাজতে

শ্রীকান্ত মেহতা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
শ্রীকান্ত মেহতা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মসের (এসভিএফ) কর্ণধার শ্রীকান্ত মেহতাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের ওডিশার বিশেষ সিবিআই আদালত। পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর রোজভ্যালি চিট ফান্ড দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তাঁকে কলকাতার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। শ্রীকান্ত মেহতার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর সারদা ও রোজভ্যালি চিট ফান্ডের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার কসবা এলাকার একটি শপিং মলে এসভিএফের অফিসে ঢুকে আড়াই ঘণ্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। এখানেই শ্রীকান্ত মেহতাকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্মকর্তারা। এরপর তাঁকে আটক করেন গোয়েন্দারা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার সল্টলেকের সিবিআইয়ের প্রধান অফিসে। সেখানে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার শ্রীকান্ত মেহতাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের সিবিআই দপ্তরে। সেখানে খুরদা রোড আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত।

জানা গেছে, কলকাতার চাঞ্চল্যকর রোজভ্যালি চিটফান্ড দুর্নীতির সঙ্গে শ্রীকান্ত মেহতার সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিবিআই। রোজভ্যালি থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে জেরা করে সিবিআই শ্রীকান্ত মেহতার খোঁজ পায়। গৌতম কুণ্ডু এখন কারাগারে আছেন। শ্রীকান্ত মেহতা রোজভ্যালি এবং সারদার কর্ণধারের ওপর প্রভাব খাটিয়ে সিনেমা তৈরির নামে বহু অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে। সিনেমা তৈরির কথা বলা হলেও তা করেননি শ্রীকান্ত মেহতা। এর বদলে সেই অর্থ তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।

সিবিআই জানতে পেরেছে, সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে সিনেমা তৈরিসহ সারদার ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন শ্রীকান্ত মেহতা। সিবিআই তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।