সাবেক প্রেমিককে দেখে দৌড়

আলোকচিত্রী ডাবু রত্নানির ক্যালেন্ডার উন্মোচন অনুষ্ঠানে রেখা
আলোকচিত্রী ডাবু রত্নানির ক্যালেন্ডার উন্মোচন অনুষ্ঠানে রেখা

অমিতাভ বচ্চন ও রেখার গোপন প্রেম কেবল গুজব নয়, সেটা ছিল দিনের আলোর মতো সত্য এবং সুন্দর। তবে বলিউডের পর্দায় দুজনের রোমান্টিক সম্পর্ক কোটি কোটি মানুষকে নাড়া দিয়েছে। যৌবনের সেই প্রেম কি তবে মরে গেছে আজ? সাবেক প্রেমিক অমিতাভকে দেখে দৌড়ে পালালেন কেন রেখা? সেও শরীরসর্বস্ব অমিতাভ নয়, তাঁর ছবি দেখে! গত সোমবার ভারতের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ডাবু রত্নানির ক্যালেন্ডার উন্মোচন অনুষ্ঠানে হাজির হন বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী রেখা। অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি, পেছনে ছিল ডাবুর তোলা বেশ কয়েকজন তারকার ছবি। হঠাৎ রেখার মনে হলো, পেছনে কী যেন দেখলাম! পেছনে ফিরে অমিতাভের ছবি দেখে উল্টো দিকে দৌড় দেন তিনি।

যাঁরা জানেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখা দরকার, রেখা-অমিতাভের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ ছবির শুটিং সেট থেকে। ওই সময় অমিতাভ জয়া বচ্চনকে বিয়ে করে ফেলেছেন। সে কারণে প্রেমের বিষয়টি পুরোপুরি চেপে যান অমিতাভ। কেউ ঘুণাক্ষরেও ঘটনা টের পাননি। তবে প্রেমের আগুন কি আর চেপে রাখা যায়? ১৯৭৮ সালে ‘গঙ্গা কি সৌগন্ধ’ ছবির সেটে এক সহশিল্পী রেখার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে ক্ষেপে যান অমিতাভ। এ ঘটনার পরই সবাই জেনে যান, এ দুই তারকা ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন।

১৯৮৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভকে নিয়ে কথা বলেছিলেন রেখা। কেন সম্পর্ক গোপন রেখেছিলেন তাঁরা? রেখা বলেছিলেন, ‘করব না কেন? অমিতাভকে ইমেজ ধরে রাখতে হবে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে, সন্তানদের আগলে রাখতে হবে। আমি মনে করি সেটাই ঠিক ছিল, মানুষ কী মনে করল, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।’

রেখা বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রেমের ব্যাপারে লোকের জানার দরকার কী? আমি তাঁকে ভালোবাসতাম, তিনি আমাকে। এতটুকুই, শেষ। লোকে কী ভাবল, তা নিয়ে আমি ভাবিনি। তিনি কখনো এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেই বরং হতাশ হতাম। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। লোকে হয়তো বলবে, বেচারি রেখা, পাগল হয়ে গেছে। অমিতাভের ১০টি প্রেম ছিল। ভদ্রলোক এখনো একটু সেকেলে, কাউকে কষ্ট দিতে চান না। বউকে কেন কষ্ট দেবেন!’

একই সাক্ষাৎকারে সন্তানসন্ততি নিয়েও কথা বলেন রেখা। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল আমার একঘর বাচ্চা-কাচ্চা হবে। এটা যে স্বপ্নই রয়ে যাবে, সেটা ভাবিনি। মা সব সময় বলতেন যেন ত্রিশের আগেই বাচ্চা নিয়ে ফেলি। আমিও সেটাই মনে করতাম। মনে হতো সন্তান শারীরিকভাবে আমার সঙ্গেই বেড়ে উঠুক। তাতে যোগাযোগহীনতা তৈরির ভয় থাকে না। আমি চিন্তার দিক থেকে অনেক অগ্রসর, বোধ করি ১০০ বছর। তবে আমি একান্ত নিজের মতো থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু সেটা ঘরভর্তি বাচ্চা-কাচ্চাসহ। ভেবে দেখেন, ঘরের ভেতর বাচ্চা-কাচ্চা দৌড়-ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে, সুন্দর না বিষয়টি? ভেবেছিলাম দুটো নয়, অন্তত বারোটি সন্তানের মা হব।’

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক এখন যেমনই হোক না কেন, তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়াকে খুব ভালোবাসেন রেখা। আর বলিউডের কোনো অনুষ্ঠানে রেখার সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, সম্বোধন করেন ‘রেখা মা’ বলে। বলিউড শাদিস ডটকম