পিকনিক করে সিনেমার উন্নতি হবে না: অনন্ত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পিকনিকে স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষার সঙ্গে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। গাজীপুর, ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পিকনিকে স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষার সঙ্গে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। গাজীপুর, ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত

এসব পিকনিক চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখবে না। তবে এটা নিজেদের মধ্যকার দলাদলি দূর করতে পারে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পিকনিকে গিয়ে এমনটাই বলেছেন আলোচিত চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। গতকাল বুধবার ঢাকার অদূরে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষাকে সঙ্গে নিয়ে যান।

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’–এর শুটিং। এই ছবির মাধ্যমে কয়েক বছর বিরতির পর আবার শুটিংয়ে ফিরছেন অনন্ত ও বর্ষা। ছবিটির শুটিং বাংলাদেশ ছাড়া ইরান, তুরস্ক ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হবে। অভিনয়শিল্পীরাও থাকবেন এসব দেশের।

ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল ২০১০ সালে ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর একে একে আরও পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ছবিগুলো হচ্ছে ‘হৃদয়ভাঙা ঢেউ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ এবং ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’। ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ ও ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা শুরু হয় অনন্ত জলিলকে নিয়ে। সিনেমায় অভিনয়ের কারণে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলকে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়মিত দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজনে (পিকনিক) যান। মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। সেখানে তিনি বনভোজনের বিষয়ে বলেন, ‘এই আয়োজনে বরাবরই আমরা আসার চেষ্টা করি, কারণ আমরা শিল্পী। এখানে এসে ভালোও লাগে। শিল্পী আর পরিচালকদের মধ্যে একতা আছে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, শুধু প্রযোজকদের মধ্যে কোনো একতা নেই। অনেকবার চেষ্টাও করেছি, কিন্তু ফলাফল কিছুই হয়নি।’

চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতির বনভোজন উপলক্ষে নতুন ও পুরোনোদের একটা মিলনমেলা হয়। তবে এবার সেই অর্থে অনেক শিল্পীকে দেখা যায়নি, যাঁরা সব সময় যান। এসব অনুষ্ঠান স্থবির চলচ্চিত্রকে চাঙা করতে কী ভূমিকা রাখতে পারে, জানতে চাইলে অনন্ত বলেন, ‘পিকনিক সবার সঙ্গে সবার দেখা হওয়া। নিজেদের মধ্যে যে ভুল–বোঝাবুঝি সেটাও দূর করার একটা মাধ্যম বলতে পারেন। নিজেদের মধ্যে বহুদিন পর একসঙ্গে দেখা হওয়ার উপলক্ষ। এসব উপলক্ষ কোনো অবস্থায় সিনেমার উন্নয়নে কোনো কাজে আসবে না।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজনে যান সৈয়দ হাসান ইমাম, সোহেল রানা, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাভেদ, রোজিনা, ফেরদৌস, রিয়াজ, পপি, অমিত হাসান, রেসি, ডিপজল, কাবিলা, বাপ্পী, সাইমন, ইমন, নিরব, শিপন মিত্র প্রমুখ। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের উপস্থিতিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সবাইকে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করা হয়। পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান, বদিউল আলম খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুসহ অনেকে। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজকেরা।

সন্ধ্যায় শুরু হয় আতশবাজি। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চে নাচ নিয়ে ওঠেন জয় চৌধুরী, শিপন মিত্র, নাদিম, সাঞ্জু জন, অভি, সাইফ খান, জলি, বিপাশা, নীড়, দিপালী, অমৃতা ও তানিন সুবহা। রাত পৌনে দশটার দিকে সবাই পিকনিক স্পট থেকে বিদায় নেন।