আগামী মাসেই নির্বাচন

দুই বছর আগে উৎসাহ–উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন। ছবি: সংগৃহীত
দুই বছর আগে উৎসাহ–উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দেশের টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন। এতে শহীদুল আলম সাচ্চু সভাপতি ও আহসান হাবিব নাসিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দুই বছর মেয়াদি ২১ সদস্যের এই কমিটির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে এ মাসেই। কারণ, নির্বাচনের পাঁচ দিন পর, অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করেছিল কমিটি। হিসাবমতে, এই মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে পুরোনো কমিটির মেয়াদ।

জানা গেছে, সাংগঠনিকভাবে নতুন কমিটি নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে সাংগঠনিক কিছু কার্যক্রম বাকি রয়েছে বলে জানালেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম। তিনি বলেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা। ওই দিন সকাল নয়টা থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।’

আহসান হাবিব নাসিম জানান, সকাল নয়টায় শুরু হবে অভিনয়শিল্পীদের নাম নিবন্ধন। সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী। তারপর সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবেন। আর্থিক প্রতিবেদনও পেশ করা হবে। তারপর সেটা নিয়ে আলোচনা ও অনুমোদন করা হবে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং সেই নির্বাচন কমিশনই পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে তফসিল ঘোষণাসহ যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিকেল পাঁচটায় আসার কথা রয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ও উপস্থিত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে। পুরো আয়োজন হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। এরই মধ্যে সে রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত দুই বছরের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে কথা বলেন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই বছরে বেশ কিছু কাজ করেছি। সেগুলো সংগঠনই শুধু নয়, প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীরই কাজে লেগেছে বলে মনে করি।’ তিনি বিগত দিনের কাজগুলো প্রসঙ্গে জানান, উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে অভিনয় শিল্পী সংঘের নিবন্ধন, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া। সমস্যায় থাকা শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো। বাংলাদেশে বিদেশি অভিনয়শিল্পীদের অভিনয়ের ব্যাপারে নীতিমালা তৈরি। অভিনয়শিল্পীর পেশার নিরাপত্তা, কাজের পরিধি ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করা। শিল্পীর স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক স্থাপন এবং অভিনয়শিল্পীদের নিজস্ব অফিস ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা।

তবে বিভিন্ন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা এখন অপেক্ষায় আছেন নির্বাচনের। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগও স্থাপন করেছেন। সবাই অপেক্ষায় আছেন নতুন নেতৃত্বের। কারণ, আগামী মার্চেই হতে পারে এই সংগঠনের নির্বাচন।