গ্র্যামির মঞ্চে চমকে দিলেন সাবেক ফার্স্ট লেডি

গ্র্যামির মঞ্চে সবার সঙ্গে মিশেল ওবামা। ছবি: সিএনএন
গ্র্যামির মঞ্চে সবার সঙ্গে মিশেল ওবামা। ছবি: সিএনএন

আজ সোমবার (যুক্তরাষ্ট্রে রোববার রাত) গ্র্যামির মঞ্চে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা—কেউ ঘুণাক্ষরেও সেটা টের পাননি। সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি উপস্থিত হলেন সেই মঞ্চে। সংগীত কীভাবে তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে, শুনিয়েছেন সেই গল্প। পুরস্কারের বাইরে তাঁর উপস্থিতি আর সংগীত থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার গল্প আরও সম্মানিত করেছে উপস্থিত শিল্পীদের।

লেডি গাগা, জাদা পিনকেট স্মিথ, জেনিফার লোপেজ এবং উপস্থাপক অ্যালিসিয়া কিস মঞ্চে থাকা অবস্থায় কথা বলতে বলতে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে আবির্ভূত হন মিশেল ওবামা। তাঁকে দেখে সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মিলনায়তনজুড়ে। একপর্যায়ে মিশেল বলেন, ঠিক আছে, অনুষ্ঠানটি শেষ করতে হবে।

মিশেল ওবামা বলেন, ‘“হু রান দ্য ওয়ার্ল্ড” (বিয়ন্সের গাওয়া) গানটি আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। সংগীত সব সময় আমাকে নিজের কথা বলতে সাহায্য করেছে। আমার বিশ্বাস, সেটা এখানে উপস্থিত সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কান্ট্রি মিউজিক, রক, র‌্যাপ, যে গানই আমরা পছন্দ করি না কেন, অন্তত নিজেদের রুচিটা অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। সংগীতের মাধ্যমে নিজেদের মর্যাদা, দুঃখ, আশা ও আনন্দের কথা বলতে পারি আমরা। এই মাধ্যমে আমরা একে অন্যকে বলতে পারি, ওই গানটা শুনেছ?’

নিজের পাশের দাঁড়ানো নারীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সংগীত আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে প্রতিটি গল্প, প্রতিটি গানের প্রতিটি নোট নির্ভর করে এই নারীদের ওপর।’

অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরে টুইটারে তিনি লিখেছেন গ্র্যামির মঞ্চে উপস্থিতি নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা। তিনি লিখেছেন, ‘অ্যালিসিয়ার ডাকে সাড়া দিতে সেখানে গিয়েছিলাম। সে আমার চেনা প্রকৃত একজন বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ। সংগীতের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে উদ্‌যাপনে আমাদের সাহায্য করতে তার চেয়ে ভালো আর কে পারে।’

আজ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের স্টেপলস সেন্টারে বসে সংগীতের সবচেয়ে বড় সম্মাননা অনুষ্ঠান গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ৬১তম আসর।