তনুশ্রী এবার ডাক পেলেন হার্ভার্ডে

তনুশ্রী দত্ত
তনুশ্রী দত্ত

২০০৪ সালের ‘মিস ইন্ডিয়া’ ও একসময়ের বলিউড তারকা তনুশ্রী দত্ত বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দেন। ১০ বছর আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকার তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ। ২০০৫ সালে ‘চকলেট’ ছবির শুটিংয়ের সময় পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁকে জামা খুলে অন্য দুই শিল্পী সুনীল শেঠি আর ইরফান খানের সামনে নাচার জন্য বলেছিলেন। এরপরই বলিউডের অনেক অভিনেত্রী ‘#মি টু’ নিয়ে মুখ খোলেন। এবার সেই তনুশ্রী দত্ত ডাক পেলেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে। লড়াকু জীবনের কথা তাঁর মুখ থেকে শুনতে ডাক পাঠাল হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের ম্যাসাচুসেটসের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে তনুশ্রী দত্ত আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আগামী শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সেখানে ‘ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০১৯’-এর উদ্বোধন করবেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও কেনেডি স্কুলের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। সেই অনুষ্ঠানেই তনুশ্রী দত্ত তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন। ওই অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন সমাজসেবী অরুণা রায়, সাংবাদিক বারখা দত্ত, বাহুবলীর পরিচালক এস এস রাজামৌলি এবং রাজনীতিবিদ আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি।

গতকাল রোববার ইনস্টাগ্রামে নিজেই হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে আমন্ত্রণের কথা জানান তনুশ্রী দত্ত।

এই আমন্ত্রণের কারণে তনুশ্রী দত্তের পরিচিতি একটু বদলে গেল। যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে ‘#মি টু’ আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলে আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। সেই কষ্টের কথা শুনতেই এবার ডাক এল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লড়াকু জীবনের কথা তাঁরই মুখ থেকে শুনতেই হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে।

২০০৪ সালে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ ও সাবেক বলিউড তারকা তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবি করতে গিয়ে নানা পাটেকার তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছেন। এরপর অপ্রত্যাশিত নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানা পাটেকারকে। এ সময়ের তুমুল জনপ্রিয় কয়েকজন বলিউড তারকা তাঁর সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। প্রখ্যাত এই অভিনেতার অভিনয়জীবনের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চুক্তি হয়েছে, এমন কয়েকটি ছবি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে তিনি খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হন না। সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরা ও সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

বিশ্বের অনেক দেশেই যখন হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল, ঠিক তখন প্রায় ১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সামনে এনে ভারতে এই আন্দোলনের সূচনা করেন তনুশ্রী দত্ত। তিনি মুখ খোলার পর চরম বিরোধিতার মুখে পড়েন। অল্প দিনেই ভারতে এই আন্দোলন শক্তিশালী রূপ নেয়। ভারতে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের সূচনার শতভাগ কৃতিত্ব দেওয়া হয় তনুশ্রী দত্তকে।