তারকাদের ফাল্গুনী দিন

তানজিন তিশা, রোশান, সাবিলা নূর
তানজিন তিশা, রোশান, সাবিলা নূর

ফাল্গুনের প্রথম দিন ছিল গতকাল। আগুনরঙা আবহে সেজেছেন সবাই। বাদ যাননি তারকারাও। এদিন ফাল্গুনী আমেজে নিজেকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ। পয়লা ফাল্গুনের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে যেতে হয়েছে ছোট পর্দার তারকা সাবিলা নূরকে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্লাস করেই বন্ধুদের নিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করতে বেরিয়েছেন তিনি। সাবিলা বলেন, ‘সকাল থেকে ক্লাস করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খাওয়াদাওয়া, ঘোরাঘুরি করেছি।’ পয়লা ফাল্গুনের দিনটিকে বই কেনার জন্যও বরাদ্দ রেখেছেন এই তারকা। তিনি বলেন, ‘পয়লা ফাল্গুনের দিন বই কিনব, আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম।’

এদিন বাংলাভিশনে সাবিলার অভিনীত বিশেষ নাটক একটি জরুরি কথা আছে সন্ধ্যায় প্রচারিত হয়েছে। সাবিলা বলেন, ঘোরাঘুরি করে ফিরতে দেরি হয়েছে। তবে তাঁর মা–বাবা দেখেছেন নাটকটি।

ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যস্ত সময় কেটেছে পয়লা ফাল্গুনের দিনে। এদিন তিনি নাটকের শুটিং করেছেন। তবে বিশেষ দিনটির জন্য শাড়ি কিনেছেন। শুটিংয়ে সঙ্গে করে শাড়িটি নিয়েও গিয়েছিলেন। দিবসটি উদ্‌যাপনের জন্য শুটিং থেকে ছুটি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। তিশা বলেন, ‘দিনটি তো বছরে একবারই আসে। তাই ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করেছি। শুটিং থেকে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য ছুটি নিয়ে উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে করে ঘুরে বেড়িয়েছি। কয়েকটি শুটিং হাউসে ঘুরেছি। সহশিল্পীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি। সন্ধ্যার পর আবার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি।’

পয়লা ফাল্গুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা ছিল বড় পর্দার তারকা রোশানের। তাঁর কথা, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরোনোর পর সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সব বন্ধুকে একসঙ্গে পাওয়া যায় না। বছরের বিশেষ দিনটি ধরেই সবাই এক হয়েছি।’

পরিকল্পনা অনুযায়ী পয়লা ফাল্গুনের দুপুরের পরপরই বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন রোশান। গাড়িতে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমন্ডি ও উত্তরায় ঘোরাঘুরি করে আড্ডা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর একসঙ্গে খুব মজা করেছি। ফুচকা খেয়েছি। সবাই ফাল্গুনের পাঞ্জাবি পরেছিলাম।’