রূপের নয়, গুণের বিশ্বসুন্দরী খুঁজছেন চয়নিকা

চয়নিকা চৌধুরী
চয়নিকা চৌধুরী

টেলিভিশনে প্রেমের নাটক বানিয়ে পরিচালক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন চয়নিকা চৌধুরী। দেড় যুগে খণ্ডনাটক ও ধারাবাহিক মিলিয়ে ৩৯৬টি নাটক পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর নাটকে গল্পের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পী নির্বাচনেও সব সময় দর্শককে চমক দিয়েছেন তিনি। সমসাময়িক অনেকে নাটক থেকে চলচ্চিত্র বানাতে এলেও অনেকের প্রশ্ন ছিল চয়নিকা চৌধুরী কবে আসবেন চলচ্চিত্র বানাতে। অবশেষে জানা গেল, সিনেমা বানাতে যাচ্ছেন টেলিভিশন নাটকের গুণী এই পরিচালক। প্রথম ছবির নাম নিবন্ধনও করেছেন তিনি। জানালেন, তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমার নাম ‘বিশ্ব সুন্দরী’।

ভালোবাসার দিনে চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা দিলেন অনেক ভালোবাসার নাটকের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। ‘বিশ্ব সুন্দরী’ সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন রুম্মান রশীদ খান। ছবির অভিনয়শিল্পীও মোটামুটি চূড়ান্ত করেছেন। এই সিনেমায় বড় ও ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পীরা কাজ করবেন। খুব শিগগিরই একটি বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছবির অভিনয়শিল্পীদের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন তিনি।

প্রথম সিনেমার নাম চুক্তিবদ্ধ করেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সবাই অনুরোধ করছিল। আমি নিজেও চেয়েছি এমন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে, যা সব শ্রেণির দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে। দর্শক হাসবেন, কাঁদবেন, প্রেমের অনুভূতিতে ভাসবেন। কেন জানি এত দিন মনমতো গল্প পাচ্ছিলাম না। কারণ, এমন কোনো গল্প চেয়েছি যা ড্রয়িংরুমের দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহের দিকে নিয়ে আসতে বাধ্য করবে, সেই সঙ্গে যাঁরা নিয়মিত প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখেন, তাঁদের মনের খোরাকও যাতে জোগাতে পারি। আমার অসংখ্য নাটকের নাট্যকার রুম্মান রশীদ খান। বেশ কিছুদিন আগে তাঁর কাছ থেকে একটি গল্প শোনার পর রীতিমতো আমার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়েছে। তখনই মনে হয়েছে, আমি তো এমন গল্পই আসলে খুঁজছি। দর্শক যেহেতু ভালোবাসার নাটকে আমাকে বেশি পেয়েছে, পছন্দ করেছে—আমি নিজেও যেহেতু ভালোবাসার পূজারি, সুন্দরের পূজারি, তাই গল্পকার আমার প্রথম চলচ্চিত্রের নাম দিয়েছেন “বিশ্ব সুন্দরী”।’

‘বিশ্ব সুন্দরী’ ছবির মধ্য দিয়ে কিসের গল্প দর্শককে দেখাতে চান? ‘এই গল্প প্রেমের, এই গল্প মানবতার, এই গল্প জীবনের জয়গানের। সৌন্দর্য যে শুধু বাহ্যিক নয়, সৌন্দর্য হতে পারে মন-মননের—তা শক্তিশালী একটি চিত্রনাট্যের মাধ্যমে এই গল্পে ফুটে উঠেছে। আশা করছি দারুণ এই গল্পকে আমি আমার দীর্ঘ নির্মাণজীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে চলচ্চিত্রে রং ছড়াতে পারব।’ বললেন চয়নিকা চৌধুরী।