পাকিস্তানকে 'না'

শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতার
শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতার

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে বোমা হামলায় দেশটির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অন্তত ৪২ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটা নাগাদ রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপুরা এলাকায় বাইপাসের কাছে গোরীপোরায় জম্মু-শ্রীনগর ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিআরপিএফের প্রায় ৭৮টি গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই হামলায় প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর ভারতজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। এদিকে এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না বলিউডের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব জাভেদ আখতার ও অভিনেত্রী শাবানা আজমি দম্পতি।

পুলওয়ামায় বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। সংগঠনটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি আত্মঘাতী হামলা। আদিল আহমাদ এ হামলা চালান। তিনি ২০১৮ সালে সংগঠনটিতে যোগ দেন। ভারত বরাবর বলে আসছে, এই সংগঠনটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে পাকিস্তান। যেহেতু পাকিস্তান এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাই পাকিস্তানের একটি আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি। অনুষ্ঠানটির আয়োজক প্রতিষ্ঠান করাচি আর্ট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।

আজ টুইটারে জাভেদ আখতার লিখেছেন, ‘কাইফি আজমি আর তাঁর কবিতা নিয়ে একটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এ কারণেই আমাকে আর শাবানাকে দুই দিনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে করাচি আর্ট কাউন্সিল। কিন্তু এখন আমরা সেখানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ টুইটারে জাভেদ আখতার আরও লিখেছেন, ‘১৯৬৫ সালে ইন্দো-পাক যুদ্ধের সময় কাইফি আজমি একটি কবিতা লিখেছিলেন, অউর ফির কৃষণ নে অর্জুন সে কাহা।’

শাবানা আজমি টুইটারে আগেই লিখেছেন, ‘এই জঘন্য হামলার পর আমাদের কি ওখানে যাওয়া উচিত? একটি অমানবিক হত্যাকাণ্ড। নৃশংসভাবে এতগুলো মানুষকে হত্যা করা হলো। খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে পুলওয়ামায়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

করাচি আর্ট কাউন্সিল আয়োজিত এই অনুষ্ঠান হবে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি।