ভালোবাসা দিবস শেষ, শুটিংবাড়ি ফাঁকা

আপাতত কয়েক দিন শুটিং হবে না শুটিংবাড়িতে। ছবিটি উত্তরার স্বপ্নীল–২ শুটিংবাড়ির
আপাতত কয়েক দিন শুটিং হবে না শুটিংবাড়িতে। ছবিটি উত্তরার স্বপ্নীল–২ শুটিংবাড়ির

ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জমজমাট ছিল নাটকপাড়া। টেলিভিশন, অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে নাটক, টেলিছবি এবং অনলাইন কনটেন্ট। এসব নির্মাণ করতে অর্থাৎ শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গার শুটিংবাড়ি। কিন্তু ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস পার হওয়ার পরপরই থমকে দাঁড়িয়েছে শুটিংবাড়ি। কারণ, কমে গেছে শুটিং। একই সঙ্গে উত্তরার পাশে টঙ্গীতে শুরু হয়েছে ইজতেমা। সব মিলিয়ে উত্তরায় আপাতত শুটিংয়ের বিরতি চলবে কদিনের-এমনটাই জানালেন শুটিং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান। বললেন, ‘এমনিতেই কিছুদিন হলো কাজ কমে গিয়েছে, ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে একটু কাজের চাপ বেড়েছিল, কিন্তু আপাতত কদিন কোনো শুটিং নেই। এটা নিয়ে একটু চিন্তায় আছি।’

খলিলুর রহমান জানালেন, তাঁর চারটি শুটিংবাড়ি। কিন্তু গতকাল অবধি আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত একটি বাড়িও শুটিংয়ের জন্য ভাড়া হয়নি। অনেকেই অবশ্য যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউই চূড়ান্ত করেননি। একই অবস্থা স্বপ্নীল হাউসের মালিক ও শুটিং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীমের শুটিংবাড়িগুলোর। তিনি বললেন, ‘আজ (গতকাল) একটা বাড়ি শুটিং করার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। আরেকটার জন্য কথাবার্তা চলছে। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আশা করছি, এ মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাস থেকে ঈদের কাজ শুরু হবে। আবার জমজমাট হবে শুটিংবাড়ি।’

শুটিংবাড়ি ফাঁকা মানে নির্মাতারা আছেন বিশ্রামে। গতকাল কথা হলো নির্মাতা শিহাব শাহীনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আপাতত কয়েক দিন বিশ্রামে আছি। আগামী সপ্তাহ থেকে আবার শুটিং শুরু করব। এখন কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তবে ব্যতিক্রমও আছে। ভালোবাসা দিবসের দিন ১৪টি নাটক প্রচারিত হয়েছে মেহ্জাবীন চৌধুরীর। গতকাল থেকে তিনি শুটিং শুরু করেছেন। তিনি জানালেন, ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে প্রচুর ব্যস্ত ছিলেন। এত কাজের চাপ পড়েছিল যে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দুই দিন আগে কাজ শেষ হওয়ায় দু-তিন দিন বিশ্রামে ছিলেন। আবার নিয়মিত হচ্ছেন কাজে।

শুটিংবাড়ির কাজ থাকুক বা না থাকুক, ঠিকই মাস শেষে ভাড়া গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। তাই বছরের অর্ধেক মাস কাজের চাপ থাকার পর অর্ধেক মাস ফাঁকা গেলে সেটা ব্যবসার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আবদুল আলীম বললেন, কাজ নিয়মিত হলে খুব বেশি সমস্যা হয় না। কিন্তু অনিয়মিত হলেই বিপদ। কারণ, এখন ব্যবসা অতটা ভালো নয়।